শিরোনাম
শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা
ঘরদোর

আলোর আলো

মোহাম্মদ সুজন

আলোর আলো

ছবি : ইন্টারনেট

টেবিলে ছোট্ট ইনডোর প্লান্ট বা ঘরের কোণে একটি কাঠের শেলফ, নিত্যনতুন ঘর সাজানোর জিনিসের অভাব নেই। তবে ঘরের চার দেয়ালে প্রাণের ছোঁয়া আনতে পারে নিত্যনতুন ডিজাইনের আলো।

 

ঘরে ফিরে সতেজ হতে চায় মন। বসার ঘরে বা ব্যালকনি; হালকা স্নিগ্ধ আলোয় গা এলিয়ে এলিয়ে দেওয়া। সঙ্গে এক কাপ গরম চা বা কফি, জমে যাবে বেশ। কৃত্রিম আলোর আভার সঙ্গে মিশে তৈরি করে অভূতপূর্ব এক পরিবেশ। বেড়ে যায় সতেজতা। আজকাল ইন্টেরিয়র ডেকোরেশনের ক্ষেত্রে আলোর অভিনব ও অন্য রকম আলোর বাহার চোখে পড়ার মতো। তবে সে ক্ষেত্রে সাধারণ টিউব বা টেবিল ল্যাম্প নয়, ঘর সাজানোর ক্ষেত্রে বাড়ছে অভিনব ও অন্যরকম আলোর চাহিদা। ঘরের চেহারা বদলে দিতে এমন লাইটিং স্টেটমেন্টই যথেষ্ট।

বসতবাড়ির অন্দরের প্রবেশপথ থেকে শুরু করে বসার ঘর, খাবার ঘর, শোয়ার ঘর, পড়ার ঘর, ব্যালকনি সবখানেই কৃত্রিম আলো তৈরি করে ভিন্নমাত্রা। এনে দেয় বিচিত্র অনুভূতি। অন্দরের প্রবেশপথে কম উজ্জ্বলতার এবং হালকা রঙের আলোকবাতির ব্যবহার আজকাল বেশ দেখা যায়। মনে রাখতে হবে, অন্দরের কোন জায়গায় কী ব্যবহার করছেন, তার ওপর অনেকাংশে নির্ভর করে অন্দরের আলোকসজ্জা। অর্থাৎ ব্যবহারভেদে বৈচিত্র্য আসে আলোর সাজে। নিজের পছন্দ এবং রুচিও এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। তবে যা-ই করুন না কেন আপনার অন্দর যাতে পর্যাপ্ত আলোয় আলোকিত হয়, সেটিই সর্বদা মাথায় রাখা উচিত।

 

ওয়াল লাইট : বাড়ির সাজে আধুনিক ও আনকনভেশনাল জিনিস যদি হয় আপনার প্রথম পছন্দ, তাহলে দেয়ালের গায়ে আটকানো বা হুকে ঝোলানো এই অভিনব লাইট আপনার জন্য আদর্শ। যেমন- বসার ঘরের দেয়ালে ঝোলানো পেইন্টিংসগুলোকে বাড়তি স্পট লাইট দিয়ে আলোকিত করে বাড়িয়ে তুলতে পারেন বসার ঘরের সৌন্দর্য। তবে মনে রাখতে হবে ঠিক জায়গায় লাগালে যথেষ্ট আলো হবে ঘরে।

 

হ্যাঙ্গিং লাইট : একদিকে সাধারণ অন্যদিকে শৈল্পিক (আর্টিস্টিক)। ঘরে আধুনিক আর বোহেমিয়ান লুকের মেলবন্ধন তৈরি করবে এই ধরনের আলো। মেটাল, বেত বা কাঠের এই আলোর ফ্রেমগুলো হতে হবে হালকা। তবে হ্যাঁ, সিঙ্গেল ল্যাঙ্গিং হোক বা অনেক হ্যাঙ্গিং; অবশ্যই সেটা লাগাতে হবে জায়গা অনুযায়ী।

 

টেবিল ল্যাম্প : আজকাল রকমারি নকশার টেবিল ল্যাম্প ব্যবহার করেও একঘেয়ে ভাবটা কাটানো যায়। সেকেলে বা ঐতিহ্যবাহী, রূপ বদলাতে টেবিল ল্যাম্পের ডিজাইন ঘরের লুকও বদলে দেবে সহজে। কাজ বা পড়াশোনার জন্য টেবিল ল্যাম্প খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে পড়ার ঘরের জন্য এমনভাবে কৃত্রিম আলোর ব্যবস্থা করা উচিত, যাতে একই সঙ্গে স্বাচ্ছন্দ্য এবং দৃষ্টিসহনীয় হয়। তাই কেনার সময় ভেবেচিন্তে অভিনব একটা ডিজাইন বেছে নেবেন।

 

ঝাড়বাতি লাইট : আগের দিনের ঝাড়লণ্ঠন এখন অন্দরসজ্জায় ফিরে এসেছে একেবারে আধুনিক রূপে। বাড়িতে যদি পুরনো দিনের আসবাব থাকে, তার সঙ্গে কিন্তু বেশ মানাবে সূক্ষ্ম ডিজাইনের শ্যান্ডেলিয়র বা ঝাড়বাতি। আভিজাত্যের একটু ছোঁয়া লাগুক না আপনার সাধের বাড়িতে!

 

ফলস সিলিং লাইট : আজকাল শুধু অফিসের কেবিনে নয়, বসার ঘর বা শোবার ঘরের এক কোণে কর্নার ক্যাবিনেট বা উপরের ফলস সিলিংয়ের ব্যবহার যোগ করেছে বৈশ্বিক আলোকসজ্জার ট্রেন্ডি আবহ। এমন ফলস সিলিং ব্যবহার করে অন্দরে আনতে পারেন হালকা ও স্নিগ্ধ আলোর ব্যবস্থা। এতে বসার ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে বহুলাংশে।

 

ট্রাইপড ল্যাম্প আর ফ্লোর ল্যাম্প : ঘরের কোণে জায়গা থাকলে সাজিয়ে রাখুন লম্বা আলো বা ল্যাম্পশেড। এ ধরনের ল্যাম্প সাধারণত কাঠের তিনটি স্ট্যান্ডের ওপরে একটা ল্যাম্পশেড লাগানো থাকে। স্ট্যান্ডযুক্ত ফ্লোর লাইটের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ট্রেন্ডি ক্রিস্টাল লাগানো ল্যাম্প শেড।

 

এ ছাড়া ফেস্টিভ লাইট, ফ্ল্যাশ মাউন্ট লাইট বা কনসিল্ড লাইটও এখন অন্দরসাজের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে। শুধু উৎসবে নয়, যে কোনো সময় ঘরে ব্যবহার করতে পারেন ফেয়ারি লাইটস। এতে অন্য রকম মায়াবী আবহে ভরে থাকবে আপনার ঘর।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর