শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা
শেষ প্রচ্ছদ

একরঙা শার্টে স্মার্ট

এ কে রাসেল

একরঙা শার্টে স্মার্ট

প্রিন্টেড শার্টের তুমুল জনপ্রিয়তা থাকলেও এখনো একরঙা শার্টেই ছেলেদের স্মার্টনেস বেড়ে যায় কয়েক গুণ। ♦ মডেল : আদর আহমেদ ও আলিফ অনীক ♦ পোশাক : ইজি ♦ ছবি : অরণ্য জিয়া

চেক বা প্রিন্টের শার্টে ট্রেন্ড তো আছেই। ছেলেদের ফ্যাশনে একরঙা শার্টের জনপ্রিয়তাও কম নয়। যদিও ট্রেন্ডটি পুরনো। তবে চিরন্তন। আর একরঙা মানেই একঘেয়ে নয়। আজকাল একরঙার রং, নকশা, কাটে আছে বৈচিত্র্য। 

 

ছেলেদের পোশাক-আশাক নিয়ে কথা উঠলে মনে আসে চেক আর প্রিন্টেড শার্টের কথা। কিন্তু তরুণরা এবার ঝুঁকছেন   একটু বৈচিত্র্যময় শার্টের খোঁজে। তাই আজকের লেখায় বলব একরঙা শার্টের কথা। ফ্যাশনে একরঙা শার্ট বেশ পুরনো। আবার একঘেয়েও নয়। আজকাল এর রং, নকশা আর কাটছাঁটে আছে বৈচিত্র্য।

 

ফ্যাশন হাউস ইজি-এর প্রধান ডিজাইনার তৌহিদ চৌধুরী বলেন, ‘তরুণরা বহুদিন যাবৎ নানা নকশার শার্ট গায়ে জড়িয়েছে। এবার তারা একটু বৈচিত্র্যের খোঁজে ঝুঁকছেন শার্টের দিকে। একরঙা পাতলা সুতি কাপড়ে তৈরি ফুলহাতা শার্টগুলোরই চল এখন বেশি। আছে হাফহাতা শার্টও। শীত তো শেষ! গরম প্রায় আসলো বলে। বাহারি এ শার্টগুলো গরমে গায়ে চাপিয়েও আরাম। তাই তো তরুণেরা আরাম আর ফ্যাশন দুয়ের মেলবন্ধনে তৈরি একরঙা শার্টের দিকে ঝুঁকছে বেশি।’

অফিস বা কাজে যাওয়ার জন্য একরঙা শার্টগুলো তরুণদের পছন্দের। এক ঢিলে দুই পাখি মারা; অর্থাৎ আরাম আর ফ্যাশন দুই-ই মিলবে শার্টগুলোয়। চেক আর প্রিন্টের একঘেয়েমি কাটাতে অনেকেই বেছে নিচ্ছে শার্টগুলো। ফুলহাতা হলেও হাতা গুটিয়ে ঠিকঠাক পরিধান করা যায়। ক্যাজুয়াল এক রঙের শার্টের মধ্যে সুতির চলই বেশি। তবে সুতির একরঙা শার্ট পরলে অনেক সময় কিছুক্ষণ চলাফেরা করলে শার্টে ভাঁজ পড়ে যায়। তাই বেছে নিতে পারেন সুতি ও অন্য সুতার মিশ্রণে তৈরি শার্ট। এতে ভাঁজ পড়লেও কম নজরে আসবে।

 

চোখে লাগার মতো রং যেমন রয়েছে আবার রয়েছে হালকা রঙের শার্টও। চোখের আরাম পেতে বেছে নিতে পারেন রঙের শার্ট। এখন রং বাছাইয়ে খুব দোটানায় না থাকলেও চলবে। আকাশি থেকে সবুজের ছোঁয়া সবই পছন্দ করছেন তরুণরা। এ ছাড়া রং হিসেবে বেছে নিতে পারেন বেগুনি, নীল, ওয়াইন, গ্রিন বা অ্যাকোয়া ব্লু। অনেকে বেছে নিচ্ছে গাঢ় রং।

 

ডিজাইনারদের মতে, ‘শার্টের ফিটিংয়ে আজকাল স্লিম ফিট ও চাপা ফিট বেশি জনপ্রিয়। ঢিলেঢালা শার্টের চল তেমন নেই।’ তবে এর ফলে বিপাকে পড়েছেন যাদের গড়ন একটু ভারী। পেটে মেদ থাকলে চাপা শার্ট পরলে ভালো দেখাবে না। তাই একটু ঘুরেফিরে নিজের সঙ্গে মানানসই এমন শার্ট কিনে নিন। কেনার আগে অবশ্যই পরে দেখুন। গাঢ় রংও বেছে নিতে পারেন।

 

 

তবে খুব বাছাবাছির মধ্যে না গেলে রেগুলার ফিট কিনে ফেলবেন। ক্যাজুয়াল শার্ট রেগুলার ফিটেই মানায় ভালো। শার্ট ইন করে পরলে বেল্টটা একটু বাহারি ধাঁচের হতে পারে। নানা উজ্জ্বল রঙের চিকন বেল্ট পরতে পারেন। শার্টের সঙ্গে বেল্টের রঙের মিল না-ও থাকতে পারে।

 

শার্টের বোতামেও বেশ ভিন্নতা দেখা যাচ্ছে। সাদা স্বচ্ছ বোতাম তেমন আর দেখা যায় না। শার্টের রং যেমনই হোক, গাঢ় রঙের বোতামই চলছে বেশ। কলারেই আছে বিচিত্র সব ডিজাইন। শার্টের জনপ্রিয় কলারের কাটের মধ্যে বান কলার, পিন কলার, ট্যাব কলার, বাটন ডাউন কলার, এ¯েপ্রড কলার, কাটওয়ে কলার বেশি ব্যবহৃত হয়। কাফের ক্ষেত্রে ফ্রেঞ্চ কাফ, কনভার্টেবল স্কয়ার কাফ, এক বোতামের মিটার্ড কাফ বেশ জনপ্রিয়। সাদাসিধে কলারে সুই-সুতার কাজও চলছে বেশ। ফুলহাতায় ডিজাইনের পাশাপাশি খাটো হাতায় যুক্ত হয়েছে ফোল্ডিং। কোনো কোনো হাতায় লুপ লাগিয়ে ভিন্নতা আনা হয়েছে।

 

দরদাম

একরঙা শার্টের দাম নির্ভর করে এর মানের ওপর। ফ্যাশন হাউসগুলোয় শার্টগুলো কিনতে পাবেন ৮০০ থেকে ২৫০০ টাকার মধ্যে। এ ছাড়া মার্কেটের সাধারণ দোকানগুলো থেকে কেনা যাবে ৫০০ থেকে ১০০০ টাকার মধ্যে।

 

যেখানে পাবেন

ক্যাটস আই, একস্ট্যাসি, জেন্টল পার্ক, ব্যাঙ, ইজি, মেনজ ক্লাব, ইয়েলো, ফ্রিল্যান্ড, স্মার্টেক্সসহ নানা ফ্যাশন হাউসে। এ ছাড়া পাবেন ঢাকার নিউমার্কেট, বদরুদ্দোজা সুপার মার্কেট, নুরজাহান সুপার মার্কেট, গ্লোব, বঙ্গবাজার, প্রিন্স প্লাজা, রাপা প্লাজা, প্লাজা এআর, সীমান্ত স্কয়ারসহ নানা স্থানে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর