শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা
গৃহস্থালি

শীত-পোশাকের যত্ন

উম্মে হানি

শীত-পোশাকের যত্ন

► মডেল : সিঁথি ► ছবি : নেওয়াজ রাহুল

শীত মানে উল, পশমি বা মোটা কাপড়ের উষ্ণ পরশ। শীত মৌসুম শেষ হলে সেই কাপড়ের সঙ্গে আড়ি। আগামী বছরের জন্য থাকবে বাক্সবন্দী। তবে সে ক্ষেত্রে এর সঠিক যত্নআত্তিও দরকার।

 

ঋতু বদল হতে না হতেই ভোল পাল্টাতে শুরু করেছে প্রকৃতি। সৈজন্য বসন্তকাল! হিম-শীতলের দিন প্রায় শেষ, আর গরম হাজির। শীতে ব্যবহৃত সোয়েটার, কোট, জ্যাকেটগুলোর সঠিকভাবে ওয়ার্ডরৌবে তুলে রাখার সময় চলে এসেছে। তবে, দীর্ঘদিন ব্যবহার করা শীত-পোশাকগুলো তুলে রাখার আগে সঠিক যত্নআত্তিও তো করতে হবে। প্রয়োজন পোকামাকড়ের হাত থেকে বাঁচিয়ে জীবাণুমুক্ত রাখার প্রতি গুরুত্বারোপ। তাই জেনে নিন শীত-পোশাকের যত্ননেওয়ার কৌশল।

 

শীত-পোশাকের যত্নআত্তি

সোয়েটার বা শাল ধোয়ার আগে ঠান্ডা পানিতে কিছুক্ষণ ডুবিয়ে রাখবেন। তারপর মাইল্ড ডিটারজেন্ট ঠান্ডা পানিতে গুলিয়ে নিয়ে শীতের পোশাক ধোবেন। এতে রোয়া উঠবে না। অনেকদিন পর্যন্ত থাকবে নতুনের মতো। চাইলে হ্যান্ডসোপ বা বেবি শ্যাম্পুও ব্যবহার করতে পারেন। সবচেয়ে ভালো হয় শীতের পোশাক ধোয়ার পর এক বালতি পানিতে সামান্য গ্লিসারিন বা এসেনশিয়াল অয়েল (ল্যাভেন্ডার অয়েল) দিয়ে তাতে ডুবিয়ে নেন। এতে পোশাকের কোমলতা বজায় থাকবে। তবে হ্যাঁ, শীতের পোশাক কখনই গরম পানি দিয়ে ধুবেন না। যে কোনো ধরনের শীত- পোশাকে চা বা কফির দাগ লাগলে সঙ্গে সঙ্গে ধুয়ে ফেলার চেষ্টা করুন। সে ক্ষেত্রে পুরোটা ধোয়ার দরকার নেই। ডিটারজেন্ট পানি ঘন করে গুলে নরম স্পাঞ্জে করে দাগের ওপর হালকা হাতে ঘষে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন, দাগ চলে যাবে। শীতের পোশাক ধোয়ার পর হ্যাঙ্গারে ঝুলিয়ে ছায়ায় শুকাতে দিন। সরাসরি রোদে শুকাতে দেবন না। এছাড়া ইস্ত্রি করার সময় সোয়েটার বা শাল উল্টে নিন। স্টিম দিয়ে ইস্ত্রি করার চেষ্টা করুন। এর ওপর সুতির কাপড় বিছিয়ে নিলে কাপড় অনেকদিন ভালো থাকে। জ্যাকেট বা কোট স্টোর করার আগে হ্যাঙ্গারে ঝুলিয়ে ব্রাশ দিয়ে ঝেড়ে নিন। এতে ধুলা-ময়লা চলে যাবে। জ্যাকেট বা কোট ওয়ার্ডরৌবে ভাঁজ করে না রেখে হ্যাঙ্গারে ঝুলিয়ে রাখুন। যদি ওয়ার্ডরৌবে জায়গা না থাকে তবে জিপ লক ব্যাগে করে স্টোর করুন। শীতের পোশাক ধোওয়ার পর যদি ইউক্যালিপটাস তেল মেশানো পানিতে ডুবিয়ে নেন, তাহলে পোকায় কাটার ভয় থাকবে না। পোশাকের উজ্জ্বলতা বাড়বে। আর মাঝে মাঝে শীত-পোশাক ওয়ার্ডরৌব থেকে বের করে হাওয়ায় দিন। শীতের কাপড় স্টোর করার সময় কিছু ন্যাপথালিন বল একটা পুরনো মোজায় ভরে আলমারিতে রাখুন, নিমপাতাও রাখতে পারেন। পোকামাকড়ের উপদ্রব থাকবে না।

 

লেপ-কম্বলের যত্নআত্তি

অনেকদিন ঘরে থাকার ফলে যে কোনো কাপড়েই এক ধরনের গন্ধ হয়, থাকে রোগজীবাণু, পড়তে পারে দাগও। স্টোর করার পরও ময়লা হয়ে যেতে পারে। তাই কম্বলসহ শীতের উষ্ণ কাপড়ের ময়লা এবং দাগ পড়লে লন্ড্রি ওয়াশ করা যেতে পারে। শীত শেষে লেপ বা কম্বল স্টোর করার আগে করিয়ে নিন ড্রাই ওয়াশ। শিমুল তুলার লেপ রোদে ভালোভাবে শুকিয়ে নিন। তবে লেপের কাভার অবশ্যই ধুয়ে নিতে ভুলবেন না। লেপের কাভারগুলো ভালোভাবে পরিষ্কার করুন। লেপ বা কম্বল এপিঠ ওপিঠ ভালোভাবে রোদে শুকাতে হবে। বছরের মাঝামাঝি সময় সব শীতকাপড় বের করে একবার রোদে দিলে ভালো থাকে। কোনো ছত্রাক বা পোকামাকড়ের উপদ্রব থাকলে তাও মরে যায়। কাপড়ের স্থায়িত্ব বাড়ে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর