ফ্যাশন আবহমান। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলে যায় ফ্যাশনের ধারা। আগের দিনের যে কোনো সময়ের তুলনায় ওয়েস্টার্ন ফ্যাশনের দিকে ঝুঁকছে তারুণ্য। ওয়েস্টার্ন সেই আউটফিটের অন্যতম অংশ ডেনিম জিন্স আর বাহারি শার্ট।
বর্তমান ফ্যাশন জগতে পোশাকের আরেক নাম জিন্স আর শার্ট। এই ফ্যাশনেবল সময়ে জিন্স, শার্টের বিকল্প নেই বললেই চলে। এখন সবাই নিজেকে হালকাভাবে প্রেজেন্ট করতে চায়। কিন্তু হালকা মানে এই নয় যে, স্মার্টনেস থাকবে না। তাই এখন স্মার্টনেসের অপর নাম জিন্স, শার্ট। যে কোনো অনুষ্ঠানে কিংবা মিটিংয়ে বা ইউনিভারসিটিতে ক্যাজুয়ালি যাওয়াটাই পছন্দ করেন সবাই।
বহুদিন ধরে ফ্যাশন ট্রেন্ডের সঙ্গী জিন্স। কবে থেকে জিন্স এ দেশের ফ্যাশন ট্রেন্ডে যোগ হয়েছে তার সঠিক দিন তারিখ জানা না থাকলেও আজ অবধি জিন্স ফ্যাশন ট্রেন্ডের অন্যতম অনুষঙ্গ। মূলত প্রয়োজনের তাগিদ থেকেই জিন্সের উৎপত্তি। পরবর্তীতে তা ফ্যাশনে রূপ নিয়েছে। জিন্সের ইতিহাস খুবই পুরনো। ধারণা করা হয় শ্রমিকদের কাজের সুবিধার জন্য জিন্সের উদ্ভব। আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ার স্বর্ণের খনিতে কর্মরত শ্রমিকদের কাজের সুবিধার জন্য জিন্স পরতে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে দেখা যায় জিন্স প্যান্ট বেশ স্থায়ী হয় এবং খনিতে কাজ করার ক্ষেত্রেও সহায়ক। বলা যায় শ্রমিকদের প্রয়োজন মেটাতেই জিন্সের উৎপত্তি। পরবর্তী সময়ে কালের আবহে জিন্স ফ্যাশন ট্রেন্ডে যোগ করে ভিন্ন মাত্রা।
দেখতে রুচিশীল এবং পরিপাটি আর অল্প ঝামেলার আরেক নাম জিন্স আর শার্ট। কম সময়ে খুব সহজেই এই ড্রেস পরে যাওয়া যায় সবখানে। বর্তমান সময়ে লুজ প্যান্টের চাহিদা একদম নেই বললেই চলে, যার জায়গাটা এখন বেশ সংকীর্ণ। পুরোটাই নিয়ে নিয়েছে জিন্স প্যান্ট। নিজের বডির সঙ্গে মিল রেখে জিন্স আর শার্ট ম্যাচ করে পরলে ভালো লাগার সবটুকুই প্রকাশ পায় পোশাকে। আর তাই তো সবাই ঝুঁকে পড়ছেন জিন্স আর টি-শার্টে। শুধু তরুণরাই নয়, মধ্য বয়স্করাও কম যান না এই ড্রেসের সঙ্গে। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তারাও সদ্ব্যবহার করছেন জিন্স আর টি-শার্টের। তবে বিভিন্ন দশকে শার্টের ফিটিং এবং কাটিংয়ে এসেছে পরিবর্তন। এখন ফিটিং এবং অপেক্ষাকৃত ছোট কলারের শার্টই বেশি পচ্ছন্দ করেন হালের তরুণরা। ফ্যাশন বোদ্ধারাও বিভিন্ন সময়ে শার্টে যোগ করেছেন নানা ফিউশন।
বাজারে জিন্স প্যান্টের চাহিদা অনেক। বিভিন্ন ডিজাইনের এসব জিন্সের ওপর নজর রয়েছে ক্রেতাদের। ন্যারো, বেলবাতাম, স্ট্রেট এসব জিন্সের চাহিদা বর্তমানে বেশি। আবার প্যান্টের কালারটাও হওয়া চাই পারফেক্ট। এদিকে আবার কাপড় স্ট্রিচ নাকি নন স্ট্রিচ সেটিও যাচাই করতে ভোলেন না ফ্যাশনপ্রিয়রা। কালার নিয়েও যথেষ্ট সচেতন সবাই। ব্ল্যাক, ব্লু, হালকা নেভি ব্লু এসব জিন্সের চাহিদা অনেক। ফ্যাশনে আধুনিকতার আর এক নাম শার্ট। নিজেকে রাঙানোর এক অনন্য মাধ্যম হচ্ছে এই শার্ট। তবে বিভিন্ন দশকে শার্টের ফিটিং এবং কাটিংয়ে এসেছে পরিবর্তন। এখন ফিটিং এবং অপেক্ষাকৃত ছোট কলারের শার্টই বেশি পছন্দ করেন হালের তরুণরা।
ফ্যাশন ডিজাইনাররা বিভিন্ন সময়ে শার্টে যোগ করেছেন নানা ফিউশন। তারা ডিজাইনে এবং প্রিন্টে এনেছেন পরিবর্তনের চিহ্ন। ফ্যাশন ট্রেন্ডে স্ট্রাইপ, চেক এবং একরঙা শার্টের পাশাপাশি জনপ্রিয়তার শীর্ষে অবস্থান করছে রং-বেরঙের প্রিন্টেড শার্ট। এক সময় হালকা ডিজাইনের এবং সিম্পল শার্ট গায়ে জড়ালেও তরুণদের স্বাদে এসেছে পরিবর্তন, তাই তাদের কথা মাথায় রেখে এখন বিভিন্ন ফ্যাশন হাউস বাজারে এনেছে রঙিন প্রিন্টের শার্ট। ডিজাইনাররা তাদের ডিজাইনে এবং প্রিন্টে এনেছেন পরিবর্তনের চিহ্ন। ফ্যাশন ট্রেন্ডে স্ট্রাইপ, চেক এবং একরঙা শার্টের পাশাপাশি জনপ্রিয়তার শীর্ষে অবস্থান করছে রঙ-বেরঙের প্রিন্টেড শার্ট। এক সময় হালকা ডিজাইনের এবং সিম্পল শার্ট গায়ে জড়ালেও তরুণদের স্বাদে এসেছে পরিবর্তন, তাই তাদের কথা মাথায় রেখে এখন বিভিন্ন ফ্যাশন হাউস বাজারে এনেছে রঙিন প্রিন্টের শার্ট।
তরুণদের কাছে অফিস বা আড্ডায় সমান জনপ্রিয় এখন প্রিন্টের বৈচিত্র্যময় ক্যাজুয়াল শার্ট। বডি ফিটিং শার্ট এ সময়ের পুরুষদের পছন্দের শীর্ষে। তাই এই বডি ফিটিং শার্টের ফ্যাশনে নতুন সংযোজন হচ্ছে নানা রকম রঙের ব্যবহারে। পার্টি উপযোগী বডি ফিটিং শর্ট শার্ট অনেক ফ্যাশনসচেতন ছেলেদের কাছে দারুণ আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। শার্টের পেছনে লকার লুপ, ফ্যাগ ট্যাগ বা ফ্রুট লুপও ব্যবহার হচ্ছে ফ্যাশন ও ফিটিংস অনুসরণ করে। তরুণরা এখন একটু বৈচিত্র্যের খোঁজে ঝুঁকছেন শার্টের দিকে। তাদের প্রথম পছন্দ আরাম ও ফ্যাশন দুইয়ের মেলবন্ধনে নতুন নকশার শার্ট। আর এ রকম শার্টও বেশ দেখা যাচ্ছে বাজারে।
ক্যাজুয়াল লুকের জন্য বাজারে পাবেন অনেক মোটিফের শার্ট। সেখানে স্থান পাবে বড় প্রিন্টের শার্ট। অর্থাৎ প্রিন্টগুলো একটু রংচঙা আর ভারী ডিজাইনের। ক্যাজুয়াল শার্টগুলো বেশিরভাগই ফুলহাতা। কেউ চাইলে পচ্ছন্দ মতো হাফ শার্টও খুঁজে পাবেন। আর এই ক্যাজুয়াল শার্টের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো ফোল্ডিং হাতা। ক্যাজুয়াল শার্টের সঙ্গে চিনোস, জিন্স অথবা ফরমাল প্যান্ট, সব কিছুর সঙ্গেই বেশ মানিয়ে যায়।
ব্র্যান্ডের জিন্স এবং শার্ট কিনতে হলে চলে যেতে পারেন রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি ও যমুনা ফিউচার পার্কে। কারণ দেশের প্রায় সব বড় মাপের ব্র্যান্ডগুলোর শোরুম এক ছাদের তলায় পেয়ে যাবেন। এক্সটাসি, ফ্রিল্যান্ড, ইনফিনিটি, ক্যাটস আই, ইয়েলোর মতো ব্র্যান্ড রয়েছে এখানে। এসব দোকান থেকে ছেলেদের শার্টগুলোর দাম পড়বে সাড়ে ৮শ থেকে ২ হাজার ৬শ টাকা। আর ছেলেদের জিন্স প্যান্টের দাম পড়বে ৭৫০ থেকে ২ হাজার ৮শ টাকার মধ্যে।