সোমবার, ১২ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স আছে, জনবল নেই

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স আছে, জনবল নেই

চট্টগ্রামের ১৪ উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাস্থ্যসেবার প্রয়োজনীয় উপকরণ থাকলেও জনবল নেই। পক্ষান্তরে, চট্টগ্রামের দ্বিতীয় বৃহত্তম সরকারি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র জেনারেল হাসপাতালে জনবল থাকলেও চিকিৎসা যন্ত্রপাতি নষ্ট। জনবল ও যন্ত্রপাতি সংকটের কারণে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম নগর এবং তৃণমূলের রোগীরা প্রয়োজনীয় সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে জানা যায়।

সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রামের ১৪ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেডিকেল টেকনোলজিস্টের (রেডিওলজি) ১৫টি পদ থাকলেও ১৩টিই শূন্য, মেডিকেল টেকনোলজিস্টের (ল্যাব) ২৯টি পদ থাকলেও শূন্য ১৭টি, কার্ডিওগ্রাফারের ১৫টি পদ থাকলেও শূন্য ৮টি এবং ইসিজি টেকনিশিয়ানের ১৪টি পদ থাকলেও সবকটি পদই শূন্য। বর্তমানে ১৪টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও), ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার (ইএমও) ও মেডিকেল অফিসার মিলে প্রায় ৬০ জন চিকিৎসক কর্মরত আছেন। অন্যদিকে, জেনারেল হাসাপতালে গত দুই বছর ধরে নষ্ট অতি জরুরি এমআরআই মেশিন, ১৮টি ইসিজি মেশিন থাকলেও সাতটি অচল, তিনটি এক্স-রে মেশিনের মধ্যে একটি নষ্ট। তাছাড়া জেনারেল হাসপাতালে পড়ে আছে চক্ষু পরীক্ষার তিনটি মেশিন। বর্তমানে জেনারেল হাসপাতালে কর্মরত আছেন ৪০ জন চিকিৎসক।

চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসমূহে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা উপকরণ আছে। কিন্তু কিছু জায়গায় জনবল সংকট আছে। সরকারি হাসপাতালে নিয়ম অনুসরণ করে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা সময়সাপেক্ষ বিষয়। তবুও আমরা জনবল স্থানান্তর করে চিকিৎসাসেবা অব্যাহত রেখেছি। তিনি বলেন, জেনারেল হাসপাতালে কিছু চিকিৎসা উপকরণ নষ্ট আছে। এ ব্যাপারে আমরা স্বাস্থ্য অধিদফতরে অবহিত করেছি। আশা করি সমাধান হয়ে যাবে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চট্টগ্রামসহ সারা দেশের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসমূহে চতুর্থ শ্রেণির জনবল সংকট দীর্ঘদিনের। কার্যত ২০১০ সালের পর থেকে চতুর্থ শ্রেণির নিয়োগ বন্ধ আছে। পরবর্তীতে স্বাস্থ্য অধিদফতর চতুর্থ শ্রেণির জনবল নিয়োগ বন্ধ রেখে আউটসোর্সিং পদ্ধতিতে জনবল নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করে। কিন্তু আউটসোর্সিংয়ে ঠিকাদারের মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া কর্মীরা যথাসময়ে বেতন না পাওয়াসহ নানা কারণে কাজ করেন না। চট্টগ্রামের ১৪ উপজেলার প্রতিটিতে চারজন করে আউটসোর্সিংয়ে কর্মরত থাকার কথা থাকলেও আছেন মাত্র চার থেকে ছয়জন।

সর্বশেষ খবর