সোমবার, ১২ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

উপজেলায় শয্যা ফাঁকা, রামেকে চাপ

কাজী শাহেদ, রাজশাহী

উপজেলায় শয্যা ফাঁকা, রামেকে চাপ

রাজশাহীর বাগমারা হাসপাতালে করোনা উপসর্গ নিয়ে আসেন ভবানীগঞ্জ পৌরসভার দাহগাছির আবুল কাসেম (৭০)। তিনি শ্বাসকষ্ট নিয়ে এলেও তাকে ভর্তি নেওয়া হয়নি বলে জানান তার দুই ছেলে সালাম ও শামীম। পরে তারা তাদের বাবাকে বাড়ি নিয়ে গিয়ে করোনাসহ শ্বাসকষ্টের চিকিৎসা দেন। অথচ এ হাসপাতালেই অব্যবহৃত পড়ে আছে ২৫টি অক্সিজেনের সিলিন্ডার। এসব সিলিন্ডার থাকা সত্ত্বেও বৃদ্ধ আবুল কাসেমকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। 

শুধু আবুল কাসেম নন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে করোনা রোগীদের জন্য আইসোলেশন শয্যা থাকলেও সেখানে রোগী ভর্তি হচ্ছেন না। কারণ চিকিৎসা না পাওয়ার শঙ্কা। ফলে প্রতিদিনই চাপ বাড়ছে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানেও চিকিৎসায় টান ধরেছে চিকিৎসক ও নার্স সংকটের কারণে। ইতিমধ্যেই উপজেলাগুলো থেকে চিকিৎসক ও নার্স বদলি করে নিয়ে আসা হয়েছে উত্তরের ভরসার সবচেয়ে বড় এই হাসপাতালটিতে। পবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একটি ১০ শয্যার করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ড করা হয়েছিল। এখনো কাগজে-কলমে সেটি আছে। কিন্তু সেখানে রাখা হয়েছে পুরনো আসবাবপত্র। রোগী নেই।  বাগমারা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘আমিসহ একজন আবাসিক চিকিৎসক দুইজন কনসালটেন্ট ও আটজন মেডিকেল অফিসারসহ মোট ১২ জন কর্মরত আছি। বর্তমানে ২০ জন নার্স থাকলেও চারজনকে রাজশাহী মেডিকেল কর্তৃপক্ষ নিয়ে গেছে। এই স্বল্পসংখ্যক ডাক্তার ও নার্স দিয়ে বিশাল এই জনগোষ্ঠীকে স্বাস্থ্যসেবা দিতে আমরা চেষ্টা করছি। করোনা নিয়ে আমরাও উদ্বিগ্ন। সিভিল সার্জন ডা. কাইয়ুম তালুকদার জানান, উপজেলা পর্যায়ে ১১০টি শয্যা বিশেষায়িত করা আছে করোনা রোগীদের জন্য। শয্যা খালি থাকলেও সেখানে রোগীরা না থেকে রাজশাহীতে চলে আসছেন।

সর্বশেষ খবর