সোমবার, ১২ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

সংকটের শেষ নেই রমেক হাসপাতালে

নজরুল মৃধা, রংপুর

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শুধু নেই আর নেই। হৃদরোগ বিভাগের এনজিওগ্রাম মেশিনটি দেড় বছরের বেশি সময় ধরে অচল অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ওই বিভাগের তিনটি ইকো মেশিনের সবকটিই নষ্ট। এ ছাড়া সিটিস্ক্যান মেশিনটিও অচল। এর আগে প্রায় এক মাস কিডনি ডায়ালাইসিস বন্ধ ছিল মেশিন বিকল হওয়ার কারণে। হাসপাতালের পরিচালক বলেছেন, অচল অধিকাংশ যন্ত্রই সহসা মেরামতের সুযোগ নেই। এ ছাড়া করোনার কারণে চিকিৎসক সংকট না থাকলেও চিকিৎসকদের চাহিদা বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে নার্সের চাহিদা। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, হাজার শয্যার রমেক হাসপাতাল হলেও এখানে দেড় হাজার থেকে ১ হাজার ৮০০ রোগী প্রতিদিন চিকিৎসা নেন। করোনা প্রকোপের প্রথমদিকে রোগীর সংখ্যা কমে গেলেও বর্তমানে আবারও রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। হাসপাতালের রোগীদের পরীক্ষা-নিরীক্ষার ৯০ শতাংশই বাইরে থেকে করাতে হয়। এ ছাড়া অধিকাংশ ওষুধও বাইরে থেকে কিনতে হয়। অনেক সময় অপারেশনের সেলাই করার সুই পর্যন্ত রোগীদের বাইরে থেকে কিনতে হয়। হৃদরোগ বিভাগের এনজিওগ্রাম মেশিনটি দেড় বছরের বেশি সময় ধরে অচল অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ওই বিভাগের তিনটি ইকো মেশিনের সবকটিই নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। হৃদরোগীদের চিকিৎসা হচ্ছে শুধু ইসিজিনির্ভর। এনজিওগ্রাম ও ইকো মেশিন না থাকায় হৃদযন্ত্রের জটিল সমস্যা চিহ্নিত করতে পারছেন না রোগীরা। ফলে অনেক রোগী মৃত্যুবরণও করেছেন বলে এমনও অভিযোগ রয়েছে। হাসপাতালের সিটিস্ক্যান মেশিনটিও দীর্ঘদিন থেকে অকেজো অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ফলে রোগীদের সিটিস্ক্যান বাইরে থেকে করতে হচ্ছে। রোগ নির্ণয়ের গুরুত্বপূর্ণ এমআরআই মেশিনটি নষ্ট। রোগীদের এমআরআই পরীক্ষা অন্য কোনো ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে করাতে হচ্ছে। হাসপাতালের পরিচালক ডা.  রেজাউল করিম জানান,  এনজিওগ্রাম ও ইকো মিশন অপাতত ঠিক হওয়ার সম্ভাবনা নেই। জনবল সংকট না থাকলেও চিকিৎসক নার্সদের  চাহিদা রয়েছে।

সর্বশেষ খবর