শিরোনাম
মঙ্গলবার, ২৬ এপ্রিল, ২০১৬ ০০:০০ টা

জরায়ু মুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে করণীয়

জরায়ু মুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে করণীয়

আমাদের দেশে গড়ে ১৮ জন নারী মারা যায় জরায়ু মুখ ক্যান্সারে। নীরব ঘাতক হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) জরায়ু মুখ ক্যান্সারের প্রধান কারণ  (৯৯% ক্ষেত্রে)। জরায়ু মুখ এই ভাইরাস দ্বারা যৌনমিলনের সময় আক্রান্ত হয়। শরীরের নিজস্ব প্রতিরোধ ক্ষমতার কারণে ৯৮% ক্ষেত্রে এই ভাইরাস আর থাকে না। ১-২% ক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ মহিলাদের HPV থেকে যায়। তাদের একটি অংশ পরবর্তীতে ক্যান্সার হওয়ার আগের অবস্থা (CIN) এবং পরবর্তীতে ক্যান্সার হতে পারে। জরায়ু মুখ ক্যান্সার প্রতিরোধক টিকা এ রোগের দীর্ঘ প্রতিরোধে সক্ষম। এটি-ই একমাত্র ক্যান্সার যা টিকা প্রদানের মাধ্যমে প্রতিরোধ করা সম্ভব। ১০০ ধরনের এইচপিভি ভাইরাস আবিষ্কৃত হয়েছে। তার মধ্যে এইচপিভি ১৬, ১৮, ৬ ও ১১ জরায়ু ক্যান্সারের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।

কত বছর বয়সে এইচপিভি টিকা দেওয়া হয় : আমেরিকার ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) নিয়মানুযায়ী ৯-২৫ বছর বয়সে এ টিকা দিলে সবচেয়ে বেশি ফলপ্রসূ হয়। যে কোনো এক ধরনের টিকা (সারভারিক্স অথবা গার্ডাসিল) ১২-১৩ বছরের বালিকাদের এইচপিভি আক্রান্ত হওয়ার আগেই দিয়ে দেওয়া ভালো। সারভারিক্স (Cervarix) হলো এইচপিভি ১৬ ও ১৮-এর প্রতিরোধক টিকা, গার্ডাসিল হলো এইচপিভি ৬, ১১, ১৮, ১৬ প্রতিরোধক টিকা।

কীভাবে কাজ করে : এ টিকা দিলে শরীরে এইচপিভির বিরুদ্ধে এন্টিবডি (রোগ প্রতিরোধক পদার্থ) তৈরি হয়। ফলে জরায়ুতে ঝুঁকিপূর্ণ ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এন্টিবডি ভাইরাস ধ্বংস করে দেয়।

টিকা নেওয়ার নিয়ম : তিনটি ডোজ নিতে হয়। প্রথম ডোজের এক মাস পর দ্বিতীয় এবং ছয় মাস পর তৃতীয় ডোজ নিতে হয়।

ডা. রুশদানা রহমান তমা

গাইনি ও প্রসূতি রোগ বিশেষজ্ঞ।

সর্বশেষ খবর