শিরোনাম
মঙ্গলবার, ২৬ এপ্রিল, ২০১৬ ০০:০০ টা

অ্যাজমা নিয়ে কুসংস্কার!

অ্যাজমা নিয়ে কুসংস্কার!

সারা বিশ্বের প্রায় ১০ কোটি লোক শ্বাসনালীর অ্যাজমায় আক্রান্ত হয়। এদের ৯০% এরও বেশি অত্যাধুনিক চিকিৎসা পায় না এবং অনেক রোগী মারা যায়। যদিও এ মৃত্যুর ৮০% প্রতিরোধ করা সম্ভব যদি আধুনিক চিকিৎসা ও ডাক্তারের তদারকির মাধ্যমে অ্যাজমা নিয়ন্ত্রণের শিক্ষা দেওয়া যায়। অ্যাজমা বা হাঁপানি আসলে শ্বাসনালীর অসুখ। যদি কোনো কারণে শ্বাসনালীগুলো অতিমাত্রায় সংবেদনশীন হয়ে পড়ে এবং বিভিন্ন ধরনের উত্তেজনায় উদ্দীপ্ত হয় তখন বাতাস চলাচলের পথে বাধার সৃষ্টি হয়ে শ্বাস নিতে বা ফেলতে কষ্ট হয়। 

কাদের হতে পারে হাঁপানি : যে কোনো বয়সের স্ত্রী, পুরুষ, শিশু-কিশোর যে কারও হতে পারে। যাদের রক্তের সম্পর্কের আত্মীয়দের হাঁপানি আছে তাদের এ রোগ হওয়ার আশঙ্কা প্রবল। আবার দাদা-দাদির থাকলে (বাবা-মায়ের না থাকলেও) নাতি-নাতনি বা তাদের ছেলেমেয়েরা এ রোগে আক্রান্ত হতে পারে। মাতৃকুল থেকে হাঁপানিতে আক্রান্তের আশঙ্কা বেশি।

অ্যাজমা কি ছোঁয়াচে : না, অ্যাজমা ছোঁয়াচে রোগ নয়। পারিবারিক বা বংশগতভাবে অ্যাজমা হতে পারে। কিন্তু ছোঁয়াচে নয়। অ্যাজমায় আক্রান্ত মায়ের বুকের দুধ খেয়ে শিশুদের অ্যাজমায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা নেই।

মায়ের সংস্পর্শ থেকেও হওয়ার আশঙ্কা নেই । 

উপসর্গ : বুকের ভেতর বাঁশির মতো সাঁই সাঁই আওয়াজ। শ্বাস নিতে ও ছাড়তে কষ্ট। দম খাটো অর্থাৎ ফুসফুস ভরে দম নিতে না পারা। ঘন ঘন কাশি। বুকে আঁটসাট বা দম বন্ধ ভাব। রাতে ঘুম থেকে উঠে বসে থাকা।

চিকিৎসা : রক্তের বিশেষ পরীক্ষা ও বুকের এক্স-রে। স্কিন প্রিক টেস্ট : রোগীর চামড়ার ওপর বিভিন্ন এলার্জেন দিয়ে পরীক্ষা করা হয় এবং এই পরীক্ষাতে কোন জিনিসে রোগীর অ্যালার্জি আছে তা ধরা পড়ে।

স্পাইরোমেট্রি বা ফুসফুসের ক্ষমতা দেখা : পরীক্ষা করে ফুসফুসের অবস্থা সম্পর্কে সঠিক ধারণা করা যায়।

এলার্জেন পরিহার : হাঁপানির হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার সবচেয়ে সহজ পন্থা হলো যে জিনিসে অ্যালার্জি তা যতদূর সম্ভব এড়িয়ে চলা। তাই পরীক্ষা করে জানা দরকার তার কিসে অ্যালার্জি হয়।

ওষুধ প্রয়োগ : নানা ধরনের হাঁপানির ওষুধ আছে। প্রয়োজন মতো ওষুধ ব্যবহার করে রোগী সুস্থ থাকেন।

ভ্যাকসিন বা ইমুনোথেরাপি : অ্যালার্জি দ্রব্যাদি এড়িয়ে চলা ও ওষুধের পাশাপাশি ভ্যাকসিনও অ্যাজমা রোগীদের সুস্থ থাকার অন্যতম চিকিৎসা পদ্ধতি।

লেখক : অধ্যাপক, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এবং চিফ কনসালটেন্ট,

দি অ্যালার্জি এন্ড অ্যাজমা সেন্টার, ঢাকা।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর