শনিবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

কোরবানি ও ভোজন বিলাস

কোরবানি ও ভোজন বিলাস

একসময় ছিল যখন খাদ্যাভাবে আমাদের সমাজে অনেক লোক মৃত্যুবরণ করেছে। কিন্তু বর্তমান সময়ের চিত্রটা সম্পূর্ণ উল্টা। খাদ্যবস্তুর জোগান প্রয়োজনের তুলনায় বৃদ্ধি পাওয়া এবং খাদ্য ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে বর্তমান সময়ে খাদ্যের অভাবে নয়, অধিক খাদ্য গ্রহণের ফলে মানুষ অসুস্থ হয়ে মৃত্যুবরণ করছে।

তাই কোরবানি ঈদের সময়টাতে খাদ্য গ্রহণে সতর্ক হতে হবে।  এ সময়টাতে মাংস, পোলাও, সালাদ, দই, মিষ্টি ইত্যাদিই ঈদের খাবারের প্রধান আকর্ষণ। এসব আকর্ষণীয় খাদ্য গ্রহণ আমাদের রসনা তৃপ্ত করে, শারীরিক যোগ্যতা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, সামাজিকতা ও আত্মীয়তার বন্ধন মজবুত করে, মানসিক প্রশান্তি আনয়ন করে, বন্ধনশৈলী অনুশীলনের সুযোগ সৃষ্টি করে এবং সর্বোপরি ঈদের আনন্দকে অর্থবহ করে তোলে। তবে ঈদের খাবার হওয়া চাই স্বাস্থ্যসম্মত, পরিমিত এবং বৈচিত্র্যময়তায় ভরা। ঈদের খাবার স্বাস্থ্যসম্মত করতে বিশেষ কিছু পরামর্শ — পশু নির্বাচনে সুঠাম গঠনের, কম বয়স্ক পশু নির্বাচন করুন তাতে উন্নত মানের মাংস পাওয়া যাবে এবং চর্বির পরিমাণ কম থাকবে। * বড়দের খাবারের জন্য যতটা সম্ভব চর্বিবিহীন মাংস নির্বাচন করুন। * কলিজা, মগজ, ভুঁড়ি, কিডনি ছোটদের খেতে দিন, বড়দের না খাওয়া বা কম খাওয়াই উত্তম। * পায়া বা নেহারিতে অধিক মাত্রার কোলেস্টেরল জাতীয় চর্বি থাকায় বড়দের তা না খাওয়াই উত্তম। * প্রতিবার খাবারের সঙ্গে কিছু না কিছু সবজি জাতীয় উপাদান গ্রহণ করবেন। যেমন : সালাদ (শসা, গাজর, টমেটো, ক্ষিরা, পিয়াজ, কাঁচামরিচ, পুদিনা পাতা) বা নিরামিষ জাতীয় সবজি একটু কম সিদ্ধ করে খাওয়ার অভ্যাস করুন। * যতটা সম্ভব কম পরিমাণে ঘি ব্যবহার করবেন, এড়িয়ে চলুন বাড়তি চর্বি।

ডা. এম শমশের আলী, সিনিয়র কনসালট্যান্ট, ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এবং মুন

ডায়াগনস্টিক সেন্টার, শ্যামলী।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর