সোমবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

অ্যালার্জিজনিত চোখের প্রদাহ

অ্যালার্জিজনিত চোখের প্রদাহ

বিভিন্ন কারণে চোখে ব্যথা বা প্রদাহ হতে পারে। এর মধ্যে অ্যালার্জিক কনজাংটিভাইটিস অন্যতম। এর বিশেষ কিছু উপসর্গ— দুই চোখই লাল হবে, দুই চোখে চুলকানি এবং জ্বালাপোড়া থাকবে। চোখ থেকে যা নিঃসরণ হবে তা জলীয় থাকবে, কনজাংটিভা খুব ফুলে যাবে, দেখতে অনেকটা কালচে বাদামি। অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়ায় চোখের পাতাও ফুলে যেতে পারে, ঝুলে পড়তে পারে।

উপসর্গ দেখা দিতে পারে বছরব্যাপী এবং মৌসুমি

বছরব্যাপী : ধুলোর জীবাণু, পশুপাখির মরা চামড়া, ছত্রাক এবং খাদ্য অ্যালার্জির কারণে বছরজুড়ে চোখের অ্যালার্জিতে ভুগতে পারে।

মৌসুমি : বায়ুবাহিত অ্যালারজেন যেমন— ঘাস, আগাছা এবং বৃক্ষের পুষ্পরেণুর কারণে মৌসুমি। এ ছাড়া পরাগায়ণের সময় বেশি হয়।

চিকিৎসা : চিকিৎসা নির্ভর করে অ্যালার্জির কারণ এবং উপসর্গের তীব্রতার ওপর। যদি সম্ভব হয় অ্যালার্জিক কনজাংটিভাইটিসের কারণ নির্ণয় এবং দূর করতে পারলে খুব ভালো হয়। যেমন— ঘরের ধুলোর জীবাণু দূর করার জন্য ঘরের কার্পেট সরিয়ে ফেলা, বালিশ এবং মাদুর ঢেকে রাখা, ৫৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় বিছানার চাদর ধুয়ে পরিষ্কার করা। সাধারণত অ্যালার্জিক কনজাংটিভাইটিসের উপসর্গ মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের হয়ে থাকে। ঠাণ্ডা পানিতে চোখ ধোয়া, চোখে বরফ চেপে রাখা বা ঠাণ্ডা পানিতে কাপড় ভিজিয়ে রেখে চোখ ঢেকে রাখাই এসব উপসর্গ দূর করার জন্য যথেষ্ট। সমন্বিতভাবে চিকিৎসা : অ্যালারজেন পরিহার— যখন অ্যালার্জির সুনির্দিষ্ট কারণ খুঁজে পাওয়া যায়, তখন তা পরিহার করলেও কনজাংটিভাইটিস নিয়ন্ত্রণ হতে পারে।

ওষুধ প্রয়োগ : ওষুধ প্রয়োগ করে সাময়িকভাবে অ্যালার্জির উপশম অনেকটা পাওয়া যায়। এ রোগের প্রধান ওষুধ হলো এন্টিহিস্টামিন, ভেসোকন স্ট্রিকটর ও মাস্ট সেল স্টাবিলাইজার চোখের ড্রপ। এন্টিহিস্টামিন, ভেসোকন স্ট্রিকটর ও মাস্ট সেল স্টাবিলাইজার চোখের ড্রপ ব্যবহারে রোগের লক্ষণ উপশম হয়। যেহেতু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়, তাই এ ওষুধ এক নাগাড়ে বেশি দিন ব্যবহার করা যায় না।

ইমুনোথেরাপি : অ্যালার্জি দ্রব্যাদি থেকে এড়িয়ে চলা ও ওষুধের পাশাপাশি ভ্যাকসিন বা ইমুনোথেরাপি অ্যালার্জিক কনজাংটিভাইটিস থেকে সুস্থ থাকার অন্যতম চিকিৎসা পদ্ধতি। অ্যালার্জি ভ্যাকসিনের মূল উদ্দেশ্য হলো, যে অ্যালারজেন দ্বারা অ্যালার্জিক কনজাংটি-ভাইটিসের সমস্যা হচ্ছে, সেই অ্যালারজেন স্বল্পমাত্রায় প্রয়োগ করা হয়।

অধ্যাপক ডা. গোবিন্দ চন্দ্র দাস, দ্য অ্যালার্জি

অ্যান্ড অ্যাজমা সেন্টার, পান্থপথ, ঢাকা।

সর্বশেষ খবর