সোমবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

অ্যালোপিসিয়া : চুল পড়ে যাওয়া

অ্যালোপিসিয়া : চুল পড়ে যাওয়া

অ্যানড্রোজেন এক ধরনের হরমোন। এই হরমোন পুরুষালি স্বভাবের জন্য দায়ী। আর জেনেটিক অর্থ হচ্ছে বংশগত অর্থাৎ বাবা কিংবা মায়ের কাছ থেকে পাওয়া। চুলের ফলিকলে ফাইভ আলফা রিডাকটেজ নামের এনজাইম থাকে। আর চুলের ফলিকলে থাকা অ্যানড্রোজেন তখন ফাইভ আলফা রিডাকটেজের সঙ্গে বিক্রিয়া করে ডাইহাইট্রোটেস-টোসটেরন তৈরি করে। হেয়ার ফলিকল ডাইহাইড্রোটেসটোসটেরনের প্রতি সংবেদনশীল। আর তাই তখন চুল পড়ে যায়। অ্যালোপিসিয়া অর্থ চুল পড়ে যাওয়া। পুরুষের চুল পড়ে যাওয়া মহিলাদের থেকেও বড় সমস্যা। মহিলাদের পুনরায় চুল গজানোর সম্ভাবনা বেশি। পুরুষের বয়স, হরমোন ও জেনেটিক কারণে চুল পড়ে। চুল পড়ার কারণ ও রোধের উপায় নিয়ে প্রচুর গবেষণা হয়েছে এবং হচ্ছে। হেয়ার রিপ্লেসমেন্ট, নানা ধরনের সার্জারিও এখন টাক আড়াল করার কাজ করছে। চুল পড়ছে এমন সন্দেহ হলে ত্বক বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হয়ে চুল পড়ার ধরন ও কারণ নির্ণয়ের পর সুচিকিৎসা প্রয়োজন।

চুল পড়ার কারণ : অ্যালোপিসিয়া এরিয়েটা

সাধারণত অটোইমিউন রোগে এমন হয়। মাথার জায়গায় জায়গায় গোল হয়ে সম্পূর্ণ চুল পড়ে।

অ্যালোপিসিয়া টোটালিস : সম্পূর্ণ মাথার চুল পড়ে যায়। অ্যালোপিসিয়ার পরবর্তী ধারা এটি।

ইউনিভার্সালিস : শরীরের সব চুল পড়ে যাওয়া।

ট্রাকশন অ্যালোপিসিয়া : অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম বা চুল খুব বেশি টেনে বাঁধলে,

টানাটানির কারণে চুল পড়ে যেতে পারে।

টেলোজেন ইফফ্লুভিয়াম : এটি সাময়িক। শারীরিক ও মানসিক চাপ, ওষুধ, হরমোনজনিত সমস্যার কারণে হয়।

অ্যানাজেন ইফফ্লুভিয়াম : কেমোথেরাপির কারণে যখন চুল পড়ে। উপরোল্লিখিত কারণে মাত্র ৫ শতাংশ পুরুষের চুল পড়ে। বাকি ৯৫ শতাংশ চুল পড়ে অ্যানড্রোজেনিক অ্যালোপিসিয়ার কারণে।

চিকিৎসা : চুলের ছাঁট-কাটের ধরন পাল্টে ফেলুন। ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শানুযায়ী ওষুধ ব্যবহার ও সেবন করুন। সুষম খাবার খাবেন।

এছাড়া হেয়ার রিপ্লেসমেন্ট করতে পারেন। সবচেয়ে বড় কথা, প্রাথমিক অবস্থা থেকে এসব রোগের চিকিৎসা নেওয়া উত্তম। অন্যথায় জটিলতা বাড়তে পারে। তখন চিকিৎসাও তুলনামূলক আরও জটিল হয়ে ওঠে।

ডা. ওয়ানাইজা রহমান, সহযোগী অধ্যাপিকা, ফার্মাকোলজি অ্যান্ড থেরাপিউটিক্স, ঢাকা

ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ, ঢাকা।

 

সর্বশেষ খবর