শনিবার, ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

প্রেসক্রিপশন

মাথাব্যথা এক দুঃসহ যন্ত্রণার নাম। শিশুদের ক্ষেত্রে সেই যন্ত্রণা আরও বেশি ভয়াবহ। এক জরিপে দেখা গেছে, প্রাথমিকভাবে বংশানুক্রমিক ১৫ বছর বয়সী পাঁচ শতাংশ কিশোর-কিশোরী মাথাব্যথার সমস্যায় ভোগে। এ ছাড়া ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী ছেলেরা ৫৬ শতাংশ এবং মেয়েরা ৭৪ শতাংশ মাসে এক বা একাধিকবার মাথাব্যথায় ভুগে থাকে। মেয়েদের ক্ষেত্রে পরিমাণটা বেশি হওয়ার কারণ হলো হরমোনের পরিবর্তন। ছোটদেরও যে মাথাব্যথা হতে পারে, একথা অনেকেই বিশ্বাস করতে চান না। অবশ্য ছোটরাও কম যায় না, অনেকে স্কুলে যাওয়ার ভয়ে মিথ্যা ব্যথার ভান করে। তাই অনেক সময় দেখা যায়, সত্যিকার অর্থে মাথাব্যথা করছে কিন্তু  চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে না।

মাইগ্রেন : এ ক্ষেত্রে টিপটিপে ব্যথা হয়। মাসে কয়েকবার কিংবা বছরে দুবার এ ব্যথা হতে পারে। ব্যথা কয়েক ঘণ্টা বা সারা দিন থাকতে পারে। এ সময় মেজাজ খিটমিটে, বমিবমি ভাব এবং বমি হয়। বিশেষ করে এ সময়ে অল্পবয়সীরা কাঁদতে থাকে, ঘুরে পড়ে যায়। কখনো কখনো তাদের মধ্যে অবসন্নতা দেখা দেয়। ঘুমের মধ্যে হাঁটে, কথা বলে, এটা ওটা ছুড়ে মারে।

ক্লাসিক মাইগ্রেন : মাথাব্যথার সঙ্গে হ্যালুসিনেশন ঘটে। এই যন্ত্রণাদায়ক অবস্থার মধ্যে নিজেকে খুব লম্বা মনে হয়। মা-বাবাকে নিজের চেয়ে ছোট বলে মনে হয়। প্রখ্যাত লেখক লুইস ক্যারল এ ধরনের মাথাব্যথায় ভুগতেন। তার এ মাথাব্যথা থেকে তিনি কিছু ক্লাসিক

গল্পও সৃষ্টি করেছিলেন।

ব্যাসিলার মাইগ্রেন : এ ধরনের মাথাব্যথায় সাধারণত কিশোরীরা কিশোরদের চেয়ে বেশি ভোগে। মাথাব্যথার সঙ্গে মাথাঘোরা, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, মাংসপেশির দুর্বলতা, শরীরের একপাশের অসাড়তা প্রভৃতি উপসর্গ দেখা দেয়। শিশুদের মাথা ব্যথা হলে  বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নিতে হবে।

ডা. মিজানুর রহমান কল্লোল, আবাসিক সার্জন, ঢাকা

ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ঢাকা।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর