সোমবার, ৩ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা

কোমর ব্যথার সাতকাহন

কোমর ব্যথার সাতকাহন

পিএলআইডির লক্ষণসমূহ : প্রধান লক্ষণ কোমর ব্যথা। ব্যথা কোমর থেকে পায়ের গোড়ালি পর্যন্ত চলে যেতে পারে। পায়ে ঝিঁঝি ধরতে পারে বা শিরশিরে অনুভূতি হতে পারে। অনেকে বলে থাকেন পা চাবাচ্ছে। সামনে ঝুঁকলে ব্যথা বাড়ে, রোগী বেশিক্ষণ হাঁটতে বা দাঁড়িয়ে থাকতে পারেন না। অনেকে শোয়া থেকে উঠে বসতেই পারেন না। তীব্র পিএলআইডির ক্ষেত্রে ব্যথা ছাড়াও স্নায়ুজনিত লক্ষণ থাকতে পারে।

রোগ নির্ণয় : আমাদের মেরুদণ্ডের কোমরের অংশ পাঁচটি কশেরুকা বা ভার্টিব্রা দ্বারা গঠিত। এর নিচে থাকে স্যাক্রাম। এই পাঁচ কশেরুকা এবং স্যাক্রামের মাঝে তালের শাঁসের মতো স্থিতিস্থাপক চাকতি থাকে।

এই চাকতিগুলো মেরুদণ্ডের শক এবজর্বারের ভূমিকা পালন করে। অর্থাৎ এদের ওপর ভর করেই মেরুদণ্ডের কোমরের অংশ তার কার্যক্রম চালায়। সামনে ঝোঁকা, ডানে-বামে বাঁকা হওয়া হাঁটা-শোয়া-বসাসহ প্রায় সব মুভমেন্টেই এই চাকতিগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পিএলআইডিতে এই চাকতিটি তার অবস্থান থেকে সরে যায় এবং সরে যাওয়া চাকতিটি স্নায়ুর গোড়ায় চাপ প্রয়োগ করে, ব্যথা শুরু হয়।

চিকিৎসা : পিএলআইডি মানেই অপারেশন নয়। বেশির ভাগ স্বল্প ও মাঝারি মাত্রার পিএলআইডি ফিজিওথেরাপির মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। পূর্ণ বিশ্রামে রেখে দিনে তিন চার বার ফিজিওথেরাপি প্রয়োগ করলে তিন চার সপ্তাহের মধ্যেই পিএলআইডি-জনিত কোমরব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তীব্র মাত্রার পিএলআইডিতে কোনো কোনো ক্ষেত্রে অপারেশন প্রয়োজন হতে পারে, তবে লাল পতাকা উপসর্গ না থাকলে ফিজিওথেরাপি প্রয়োগে তীব্র মাত্রার পিএলআইডি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। এসবই নির্ভর করবে শারীরিক অবস্থা এবং এমআরআই রিপোর্টের ওপর।

ডা. মোহাম্মদ আলী, পেইন

ও ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞ, এইচপিআরসি, উত্তরা, ঢাকা।

ফোন : ০১৭৩২৭৬২৩৩৩

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর