সোমবার, ৩ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা
প্রেসক্রিপশন

ইউরিক এসিড ও গেঁটেবাতের সম্পর্ক

ইউরিক এসিড ও গেঁটেবাতের সম্পর্ক

আমাদের শরীরে রক্তের সঙ্গে ইউরিক এসিড নামে এক ধরনের উপাদান থাকে, যার মাত্রা বেড়ে গেলে বিভিন্ন অস্থি-সন্ধি বা জয়েন্টে প্রদাহ হয়, এই প্রদাহকে গাউট বা গেঁটেবাত বলা হয়।

কারণ : জেনেটিক এক্ষেত্রে জন্মগতভাবে কারও শরীরে ইউরিক এসিডের উৎপাদন বেশি হলে এবং প্রস্রাবের সঙ্গে কম মাত্রায় নির্গত হলে; কিডনি ফেইল্যুর বা ত্রুটিযুক্ত রেচনের জন্য রক্তে ইউরিক এসিডের পরিমাণ বেড়ে গেলে; দীর্ঘ লিউকেমিয়ায় ভুগলে গাউট বা গেঁটেবাত হতে পারে।

লক্ষণ : প্রথমত এটা

পায়ের বৃদ্ধা আঙ্গুলে আক্রমণ

করে হঠাৎ সকালে ঘুম থেকে ওঠে দেখা যায় পায়ের বৃদ্ধা আঙ্গুলে প্রচণ্ড ব্যথা। এতে করে মাটিতে পা ফেলতে দারুণ অসুবিধা হয়। এক কথায় বলতে গেলে হাঁটাচলা দুঃস হয়ে ওঠে।  এমনকি আঙ্গুল ফুলে যায় ও লাল হয়ে যায়। শুধু পায়ের বৃদ্ধা আঙ্গুলে নয়, এটা হাত ও পায়ের অন্য আঙ্গুলগুলো, কব্জি, গোড়ালি, কনুই ও হাঁটুসহ বিভিন্ন জয়েন্টে হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় হঠাৎ তীব্র ব্যথা হয়, কয়েক দিন পর ব্যথার তীব্রতা কমে যায় আবার ব্যথা দেখা দেয়।

পরামর্শ : চিকিৎসা নির্ভর করে  কারণের ওপর। এছাড়া দ্রুত ইউরিক এসিড কমানোর জন্য এলুপেরিনল বা ফেবুস্ট্যাট জাতীয় ওষুধের সঙ্গে এন এস আই ডি ব্যবহার করতে হয়। রক্তে ইউরিক এসিডের পরিমাণ বেড়ে যায় এমন খাবার খাওয়া বন্ধ রাখতে হবে— যেমন: উচ্চ আমিষ জাতীয় খাদ্য, গরুর মাংস, মসুরের ডাল, শিমের বিচি, বরবটি, পালং শাক, পুঁইশাক।

ডা. এম ইয়াছিন আলী

চেয়ারম্যান ও চিফ কনসালটেন্ট

ঢাকা সিটি ফিজিওথেরাপি হাসপাতাল, ধানমন্ডি, ঢাকা।

সর্বশেষ খবর