বর্তমান প্রেক্ষাপটে কোষ্ঠকাঠিন্য একটি অন্যতম সমস্যা। এক জরিপে দেখা গেছে, এ ক্ষেত্রে মানুষের জীবনযাপন ও খাদ্যাভ্যাস অনেকাংশে দায়ী। এক কথায় যাকে বলে লাইফস্টাইল পরিবর্তন। এ রোগটি নিয়ে আমাদের মধ্যে জড়তা বেশি লক্ষ্য করা যায়। দেখা যায় প্রাথমিক অবস্থায় চিকিৎসকের স্মরণাপন্ন না হয়ে রোগ যখন জটিল আকার ধারণ করে তখন যাওয়া হয় চিকিৎসালয়। কোষ্ঠ কাঠিন্যের কারণে মলত্যাগের সময় অতিরিক্ত কুন্থনের প্রয়োজন পড়ে। ঠিক এ কারণে মলদ্বার ফেটে গিয়ে বা অর্শের কারণে মলদ্বারে ফোঁড়া হয়ে অথবা অতিরিক্ত কৃমি উপদ্রবের কারণে মলদ্বার বা সরলান্ত্রের পাশে এক প্রকার নালি ঘায়ের সৃষ্টি হয়। একে ভগন্দর বা Fistula বলে। Fistula দুই প্রকারের হয়ে থাকে। একটি হলো সম্পূর্ণ, অপরটি অসম্পূর্ণ। Fistula নালি ঘায়ের একটি মুখ মলদ্বারের ভিতরে বা বাইরের দিকে চামড়ার উপর অর্থাৎ যে কোনো একদিকে দেখা দিলে তাকে অসম্পূর্ণ Fistula বলে। অন্য এক প্রকার Fistula হলো মলদ্বারে Mucus Membrene বা শ্লৈষ্মিক ঝিল্লিতে প্রদাহ ও স্ফোটক হয়ে ক্ষতের সৃষ্টি হয় এবং ক্ষতের একটি মুখ মলদ্বারের ভিতরে এবং অন্য মুখটি মলদ্বারের বাইরে দেখা যায়, তবে তাকে সম্পূর্ণ Fistula বলে।
লক্ষণ : মলত্যাগের সময় অত্যন্ত জ্বালাপোড়ার সৃষ্টি হয়। এতে রোগী অত্যন্ত অস্থির হয়ে পড়ে। ফলে মলত্যাগ করতে ভয় পায়। মলত্যাগের সময় মলের সঙ্গে রক্ত বা পুঁজ বের হয়ে থাকে। আস্তে আস্তে ক্ষত অনেক গভীরে চলে যায়। মলদ্বার প্রচণ্ড ফুলে প্রদাহ সৃষ্টি হয়। হাঁটা চলায় ব্যথা অনুভব হয় ও রক্ত-পুঁজ নির্গত হয়।
অধ্যক্ষ ডা. আবুল কালাম আজাদকনসালনেন্ট, হোমিওপ্যাথিক ফাউন্ডেশন হাসপাতাল, ঢাকা।
ফোন : ০১৯২৮৭০৫০৩০।