শিরোনাম
রবিবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা
জেনে রাখা ভালো

কোমর ব্যথা পিএলআইডি

কোমর ব্যথা পিএলআইডি

কোমর ব্যথার শক্তিশালী কারণগুলোর অন্যতম হলো-

পিএলআইডি বা লাম্বার ইন্টারভার্টিব্রাল ডিস্ক প্রল্যাপস। পিএলআইডি তিন মাত্রার হতে পারে—স্বল্প মাঝারি ও তীব্র।

লক্ষণসমূহ : প্রধান লক্ষণ কোমর ব্যথা। ব্যথা কোমর থেকে পায়ের গোড়ালি পর্যন্ত চলে যেতে পারে। পায়ে ঝিঁ ঝিঁ ধরতে পারে বা শিরশিরে অনুভূতি হতে পারে। অনেকে বলে থাকেন পা চাবাচ্ছে। সামনে ঝুঁকলে ব্যথা বাড়ে, রোগী বেশিক্ষণ হাঁটতে বা দাঁড়িয়ে থাকতে পারেন না। অনেকে শোয়া থেকে উঠে বসতেই পারেন না। তীব্র পি এল আই ডি এর ক্ষেত্রে ব্যথা ছাড়াও স্নায়ুজনিত লক্ষণ থাকতে পারে।

রোগ নির্ণয় : আমাদের মেরুদণ্ডের কোমরের অংশ পাঁচটি কশেরুকা বা ভার্টিব্রা দ্বারা গঠিত। এর নিচে থাকে স্যাক্রাম। এই পাচ কশেরুকা এবং স্যাক্রামের মাঝে তালের শাঁসের মতো স্থিতিস্থাপক চাকতি থাকে। এই চাকতিগুলো মেরুদণ্ডের শক এবজর্বারের ভূমিকা পালন করে। অর্থাৎ এদের ওপর ভর করেই মেরুদণ্ডের কোমরের অংশ তার কার্যক্রম চালায়। সামনে ঝোঁক, ডানে বামে বাঁকা হওয়া হাটা শোয়া বসাসহ প্রায় সব মুভমেন্টেই এ চাকতিগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পিএলআইডি তে এই চাকতি টি তার অবস্থান থেকে সরে যায় এবং সরে যাওয়া চাকতিটি স্নায়ুর গোড়ায় চাপ প্রয়োগ করে, ফলে কোমরে ব্যথা শুরু হয়।

চিকিৎসা : পিএলআইডি মানেই অপারেশন নয়। স্বল্প ও মাঝারি মাত্রার পিএলআইডি ফিজিওথেরাপিতে নিয়ন্ত্রণ  সম্ভব। দিনে তিন চার বার  প্রয়োগ করলে তিন চার সপ্তাহের মধ্যেই পিএলআইডি জনিত কোমর ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তীব্র মাত্রার পিএলআইডি তে কোনো কোনো ক্ষেত্রে অপারেশন প্রয়োজন হতে পারে। ডা. মোহাম্মদ আলী, চিফ কনসালট্যান্ট, এইচপিআরসি [email protected]

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর