সোমবার, ২৬ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

কোলোনস্কোপি কী এবং কেন?

কোলোনস্কোপি কী এবং কেন?

কোলোনস্কোপি পরীক্ষার মাধ্যমে পায়ুপথ ও অন্ত্রের অনেক রোগ যেমন নির্ণয় করা যায় তেমনি এ প্রক্রিয়ায় রোগের চিকিৎসাও করা যায়। এটি হচ্ছে একটি পরীক্ষা যা কোলোনস্কোপ যন্ত্রের সাহায্যে পায়ুপথ, রেকটাম, বৃহদন্ত্র বা কোলন ও ক্ষুদ্রান্ত্রেও শেষাংশ সরাসরি দেখা যায়। এ নলটি একটি ফাইবার অপটিক যন্ত্র, সম্মুখে একটি অতি সংবেদনশীল  ক্যামেরা লাগানো  থাকে। এই ক্যামেরার সাহায্যে উক্ত পুরো অঙ্গগুলোকে একটি টিভি মনিটরে দেখা যায়, ছবি তোলা যায় এবং পুরো প্রক্রিয়াটি ভিডিও করা যায়, এমন কী রোগী নিজে এই প্রক্রিয়া টেলিভিশন মনিটরে দেখতে পারেন। কোলোনস্কোপির মাধ্যমে অন্ত্রের প্রায় সব রোগ  যেমন- কোলন ক্যান্সার, পলিপ, আলসা-রেটিভ কোলাইটিসসহ সব কোলন প্রদাহসহ অনেক রোগ নির্ণয় করা যায়।  বিশেষত প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যান্সার নির্ণয়ের জন্য এটি অনন্য মাধ্যম, ক্যান্সারের প্রাথমিক পর্যায় যখন কোলোন ক্যান্সার লক্ষণ প্রকাশ করে না অথচ এই পর্যায়েই অর্থাৎ প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যান্সার সূম্পর্ণ নিরাময় যোগ্য, শুধু এই কোলোনস্কোপির মাধ্যমেই তা ডায়াগোনসিস করা যায়। কাদের করতে হয়: আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত নিয়ম হচ্ছে ৫০ বছরের পর (বাংলাদেশে চল্লিশ বছরের পর) সব ব্যক্তির যাকে বলা হয় স্ক্রিনিং কোলোনস্কোপি, যাতে কোলন ক্যান্সার প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা যায়, যাদের ইতিপূর্বে পলিপ অপসারণ করা হয়েছে তাদের নিয়মিত সময় ব্যবধানে করতে হয়। এছাড়া মলের সঙ্গে রক্ত, কালো রক্ত, মলত্যাগের স্বভাব বদলে গেছে অর্থাৎ একবার শক্ত একবার নরম হয়, মলত্যাগের সময় ব্যথা—লক্ষণগুলো দেখা দিলে কোলোনস্কোপি করা উচিত।

অধ্যাপক ডা. এসএমএ এরফান কোলোরেক্টাল সার্জন, জাপান-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হসপিটাল, ধানমন্ডি, ঢাকা।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর