মঙ্গলবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

মাতৃত্বকালীন পাইলস

মাতৃত্বকালীন পাইলস

মাতৃত্বকালীন সময় একজন মহিলার সোনালি সময়। কিন্তু সেই সময়ও নানা রকম অসুখ-বিসুখ হতে পারে। গর্ভকালীন সময়ে কারও কারও পাইলস হওয়ার আশঙ্কা অনেক বেড়ে যায়। আর যাদের আগে থেকেই পাইলস আছে তাদের রক্তপাতের হারও অনেক বেড়ে যায়। প্রশ্ন হচ্ছে গর্ভকালীন সময়ে পাইলস এর প্রকোপ বেড়ে যায় কেন? গর্ভকালীন সময়ে জরায়ু যখন আস্তে আস্তে বড় হতে থাকে তখন জরায়ু পেলভিসের মধ্যে অন্যান্য অঙ্গগুলোকে চাপ দেয়। বিশেষ করে রক্ত চলাচলকারী শিরাকে চাপ দেয়। ফলে ওই সময়ে পা ফুলে যায়। একই কারণে পায়ুপথের শিরাগুলোও রক্তকে যথাযথভারে ফেরত নিতে পারে না, ফলে ফুলে যায়। মলত্যাগের সময় যখন মলের ঘষা লাগে তখন রক্তপাত হয়। গর্ভকালীন সময়ে রক্তপাত একটি মা বিশেষত শিশুর জন্য মারাত্মক হতে পারে। রক্তশূন্যতার কারণে শিশুর বৃদ্ধি ব্যাহত হতে পারে। মায়ের হৃদরোগসহ নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই গর্ভকালীন সময়ে পাইলস দেখা দিলে এর দ্রুত চিকিৎসা নিতে হবে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, কি চিকিৎসা নিতে হবে? চিকিৎসার ব্যাপারে প্রথম কথা হচ্ছে, যদি কোনো মায়ের গর্ভধারণের আগে পাইলস থাকে, তাহলে গর্ভধারণের আগেই এর চিকিৎসা করে নেওয়া উচিত। অপারেশনের প্রয়োজন পড়লে অপারেশন করিয়ে নেওয়া উচিত। তাহলে গর্ভকালীন সময়ে পাইলসের জটিলতা এড়ানো যাবে। অন্যদিকে গর্ভকালীন সময়ে পাইলস দেখা দিলে এর প্রথম চিকিৎসা হবে নন অপারেটিভ, অর্থাৎ ওষুধ দিয়ে এর চিকিৎসা করতে হবে। চিকিৎসার প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে রক্তপাত বন্ধ করা। কারণ গর্ভকালীন সময়ে হওয়া অধিকাংশ পাইলস পরবর্তী সময়ে এমনিতেই চলে যায়, তাই গর্ভকালীন সময়ে পাইলস হলে ওষুধের চিকিৎসার মাধ্যমে রক্তপাত বন্ধ করে সন্তান জন্মদান পর্যন্ত অপেক্ষা করা উচিত। যদি রক্তপাত বন্ধ না হয় তা হলে অপারেশন।

অধ্যাপক ডা. এসএমএ এরফান

কোলোরেক্টাল সার্জন, জাপান-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হসপিটাল

ধানমন্ডি, ঢাকা।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর