শনিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

প্রেসক্রিপশন

প্রেসক্রিপশন

অনেকেই শুচিবাইতে ভোগে থাকেন। প্রাথমিক অবস্থায় এর প্রতিকার করা না গেলে একটা পর্যায়ে দৈনন্দিন জীবন হয়ে ওঠে কণ্টকিত।  জীবনে যে কোনো সময়ে ২-৩% লোক এ শুচিবাইতে আক্রান্ত হতে পারে। এ রোগটি সাধারণত বেশি হয় ২০ বছর বয়সে। বিবাহিতদের চেয়ে অবিবাহিতরা বেশি ভোগে। কিভাবে বুঝবেন আপনি অথবা আপনার ঘরের কেউ শুচিবাইতে ভুগছে- এই রোগের দুটি অংশ-প্রথম অংশটি হলো বারবার চিন্তা আসা। রোগীরা প্রায়ই বলে থাকে ডাক্তার খালি টেনশন আসে। কোনো কোনো রোগীর দিনের শেষে রাতের বেলায় শুরু হয় বিশেষ কোনো ঘটনা বার মনে পড়া। আবার কেউ কেউ কোনো ঘটনা বলার জন্য স্বামীকে বারবার বিরক্ত করে অথচ একবার বললেই হয়। অপর অংশটি হলো চিন্তাকে কাজের অথবা আচরণের মাধ্যমে প্রকাশ করা, যাকে আমরা কম্পালশন বলি। বিশেষ কোনো জায়গায় গেলে ভয় পায় এটাকে অবসেসনাল ফোবিয়া বলে। কেউ কেউ একই ভঙ্গিতে গনবে এবং ঘরের কাপড়-চোপড় গুছিয়ে রাখবে। একটু এদিক-ওদিক হলে সবার সঙ্গে ঝগড়া লাগিয়ে দেয়। কারও কারও গোসল করতে অনেক সময় লাগে। বারবার পরিষ্কার হওয়ার পরও মনের ভিতর অপরিষ্কারের ঘৃণা থেকেই যায়। কেউ কেউ গ্যাসের চুলা ও ইলেকট্রিক সুইচ বন্ধ করার পর পুনরায় চেক করতে যান বা কাউকে চেক করতে বলেন। তাই এ ধরনের লক্ষণ বা উপসর্গ প্রকাশ পেরে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কারণ প্রাথমিক অবস্থা থেকে চিকিৎসা না নিলে একটা পর্যায়ে জটিলতা বাড়ার আশঙ্কা থাকে। কথায় আছে প্রতিকার নয় এসব ক্ষেত্রে প্রতিরোধ সর্বদা উত্তম।

ডা. মো. দেলোয়ার হোসেন

সহকারী অধ্যাপক, আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতাল, ঢাকা।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর