বয়স বাড়ার সঙ্গে তাল মিলিয়ে ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা কমতে থাকে, যার ফলে বলিরেখা বা ভাঁজের আবির্ভাব ঘটতে থাকে। ত্বকে অবস্থিত সূষম মাংসপেশির মাধ্যমে অভিব্যক্তি প্রকাশ এবং দৃশ্যমান ভাঁজ নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে। অভিব্যক্তি প্রকাশ করার সময় এই সুষম মাংসপেশি স্নায়ুর নির্দেশনায় নানা মাত্রায় দৃঢ়তা লাভ করে থাকে। এই মাংসপেশি বয়োবৃদ্ধির সঙ্গে ক্রমশ শক্ত হতে থাকে। একসময় অভিব্যক্তি না প্রকাশ করলেও শক্ত মাংসপেশির কারণে ত্বকে ভাঁজ পরিলক্ষিত হয়ে থাকে, যা বলিরেখা নামে পরিচিত। সবচেয়ে দ্রুত এবং সহজভাবে বলিরেখা দূর করা যায় বোটক্স ইনজেকশন প্রয়োগের মাধ্যমে। এই পদ্ধতি বর্তমানে বলিরেখা দূর করার সবচেয়ে জনপ্রিয় চিকিৎসা পদ্ধতি।
বোটক্স কি : বোটুইলিনিয়াম নামে একধরনের স্নায়ু বিষ পরিশোধিত করে বোটক্স তৈরি করা হয়ে থাকে। এটি ত্বকের চিকিৎসা ছাড়াও আরো অনেক রোগের চিকিৎসায় ব্যাবহার করা হয়ে থাকে।
কীভাবে কাজ করে : নির্ধারিত মাংসপেশির গোঁড়ায় প্রয়োজনীয় মাত্রায় বোটক্স ইনজেকশনের মাধ্যমে প্রয়োগ করা হয়ে থাকে। ইনজেকশনের স্থান এবং মাত্রা নির্ধারণে চিকিৎসকের বিশেষজ্ঞ জ্ঞান প্রয়োজন হয়। বোটক্স নির্ধারিত মাংসপেশিকে অবশ এবং নরম করে দেয়। ইনজেকশন দেয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বোটক্স কাজ করা শুরু করে, এবং ৫-১০ দিনের মধ্যে ফলাফল পরিলক্ষিত হয়ে থাকে। একবার ইনজেকশন দেয়ার পর সাধারণত ৩-৬ মাস কার্যকারিতা থাকে। তারপর আবার চিকিৎসা নেয়ার প্রয়োজন হয়। ইঞ্জেকশনের কারণে সাময়িক জ্বালা, পোড়া অনুভূত হয়। ইনজেকশনের স্থান নির্ধারণে ভুলের কারণে চেহারার বিকৃতি হতে পারে।এম আর করিম রেজা
জাকার্তা প্রবাসী ত্বক এবং সৌন্দর্য বিশেষজ্ঞ।