শনিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা
হেলথ কর্নার

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে করণীয়

রক্তচাপ অনেক কারণেই হয়ে থাকে। তথাকথিত যে কারণ গুলো থাকে তার মধ্যে একটি হলো বয়স বাড়ার সাথে সাথে এটা হয়ে থাকে। আর একটি হলো সেকেন্ডারি উচ্চরক্তচাপ যা বিভিন্ন কারণেই হয়ে থাকে। তার মধ্যে যেটা সাইলেন্ট ভাবে মানুষের ক্ষতি করছে সেটা হলো খাবারে অনিয়ন্ত্রণ।

অনেকেই মনে করতে পারেন খাবারে কিভাবে সম্ভব।  আমরা যখন অতিরিক্ত শর্করা জাতীয় খাবার খাই সেটা শরীরে গিয়ে ফ্যাট হিসেবে স্টোর হয়। যেমন আপনি বাসায় সকাল দুপুর, রাত মিলিয়ে যতটুকু শরকরা গ্রহণ করছেন ততটুকু বাদেও আপনি অতিরিক্ত গ্রহণ করছেন। চায়ে চিনি খাচ্ছেন সেটাও আবার ঘন ঘন। বাইয়ে রেগুলার কেনা প্রসেস খবার খাচ্ছেন, সেটাও বাড়তি খাচ্ছন, আপনার প্রতিদিনের চাহিদার বাহিরে। আবার আমরা সরাসরি কোন খারাপ ফ্যাট খাই। যেমন: ভাজাপোড়া খাবার। এগুলোতে অনেক বেশি খারাপ ফ্যাট থাকে, যাকে বলা হয় স্যাচুরেটেড ফ্যাট, ট্রান্স ফ্যাট ইত্যাদি। আমাদের শরীরে গিয়েও অতিরিক্তটা জমা হয়ে যাচ্ছে। আর তখনই উচ্চরক্তচাপ এর ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে।

আবার আর একটি কারন হলো অতিরিক্ত ওজন। এই অতিরিক্ত ওজন এর কারণেও উচ্চরক্তচাপের ঝুঁকি বেড়ে যায়। কারণ যাদের ওজন বেশি তাদের শরীরে ফ্যাট জমার পরিমাণ বেশি থাকছে। দীর্ঘদিন ধরে যদি কারোও ওজন বেশি থাকে, সেক্ষেত্রে উচ্চরক্তচাপ হওয়া খুবি সাভাবিক। খাদ্যাভাসের কি পরিবর্তন হলে এটি কন্ট্রোলে রাখা যায়, বা রোধ করা যায় তা নিচে দেওয়া হলো-

১. প্রতিদিনের খাবারের তালিকা বানিয়ে নেওয়া। যেমন: আগে থেকে আপনি সারাদিনে কি খাবার খাবেন, সেটা জানা থাকলে আগেই প্রস্তুত করে ফেলা যায়, ফলে বাইরের খাবার খাওয়ার প্রয়োজন হয় না।

২. খাবারের তালিকায় অতিরিক্ত শর্করা এবং খারাপ ফ্যাট যুক্ত খাবার কমিয়ে ফেলা বা বাদ দেওয়া। যেমন:  সারাদিনে ৩ বার এর বেশি শর্করা জাতীয় খাবার না খাওয়া। অনেক সময় আমরা নাশতায় বিস্কিটের ব্যবহার করে থাকি যা আমাদের দরকার নেই। রান্নার ধরনে পরিবর্তন আনা। যেমন: মাছ ভেজে না রান্না করে এমনি রান্না করা। ডিমটা ভেজে না খেয়ে সিদ্ধ করে খাওয়া।

৩. খাবারে অতিরিক্ত

লবণের ব্যাবহার বন্ধ করা।

৪. স্মোকিং না করা। এলকোহল খাওয়া থেকে বিরত থাকা। ৫. প্রচুর শাক-সবজি খাওয়া এবং ফল খাওয়া। কারণ শাক-সবজি এবং ফলে রয়েছে পটাশিয়াম যা রক্তচাপ কে কন্ট্রোল করে থাকে।

৬. সামুদ্রিক মাছ খাওয়া এবং প্রতিদিন অল্প কিছু বাদাম খাওয়া। কারণ এতে রয়েছে অমেগা ৩ অমেগা ৬

যা আমাদের শরীরের জমে থাকা খারাপ ফ্যাট কে সরিয়ে ফেলে। ফলে উচ্চরক্তচাপ

এর ঝুঁকি কমে যায়। এছাড়াও শারীরিক পরিশ্রমের ও

দরকার আছে প্রতিদিন।

সামিয়া তাসনিম, পুষ্টিবিদ

ল্যাব এইড, পল্লবী, ঢাকা।

 

সর্বশেষ খবর