শিরোনাম
শনিবার, ৩০ মার্চ, ২০১৯ ০০:০০ টা

হেলথ কর্নার

সিকেডি

* বিশ্বব্যাপী মোট জনসংখ্যার শতকরা ১০ ভাগ সিকেডি রোগ দ্বারা আক্রান্ত

* যে কোনো ব্যস বা বর্ণের ক্ষেত্রেই এই কিডনি রোগ হতে পারে। * প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে উচ্চরক্তচাপ ও ডায়াবেটিস হলো সিকেডির অন্যতম কারণ। * যাদের বয়স ৭৫ বা তার অধিক, তাদের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশি তুলনামূলকভাবে সিকেডি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

* ৬৫ থেকে ৭৪ বয়সের মধ্যে, মহিলাদের ক্ষেত্রে চারজনের মধ্যে একজন আর পুরুষদের ক্ষেত্রে পাঁচজনের। এর মধ্যে একজনের সিকেডি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

কীভাবে নির্ণয় করবেন?

* রক্ত পরীক্ষা- রক্তে ক্রিয়েটিনিনের পরিমাণ দেখা হয়। * প্রস্রাব পরীক্ষা- প্রস্রাবে প্রোটিনের পরিমাণ দেখা হয়।

সিকেডির লক্ষণ ও উপসর্গ প্রাথমিক পর্যায়ে সিকেডির কোনো লক্ষণ ও উপসর্গ থাকে না। একজন কিডনি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি সাধারণত তার কিডনির কার্যক্ষমতা ৯০ ভাগের বেশি হারানো পর্যন্ত কোনোরকম লক্ষণ ও উপসর্গের সম্মুখীন হন না।

* কিন্তু অ্যাডভান্সড সিকেডির লক্ষণ ও উপসর্গ হলো : পায়ের গোড়ালি ফুলে যাওয়া, অবসাদগ্রস্ততা, কাজে অমনোযোগ, ক্ষুধামন্দা এবং ফেনাযুক্ত প্রস্রাব দেখা যাওয়া। আপনিও কি ঝুঁকিতে আছেন?

আপনার কি উচ্চরক্তচাপ আছে? আপনি কি ডায়াবেটিসে ভুগছেন? আপনার পরিবারে কি কারও কিডনি রোগ রয়েছে? আপনার ওজন কি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি? আপনি কি ধূমপান করেন? আপনার বয়স কি পঞ্চাশের উপর? যদি আপনার এক বা এর অধিক প্রশ্নের উত্তর হ্যাঁ হয়, তাহলে অতিসত্বর আপনার ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলুন এবং আপনার কিডনি পরীক্ষা করুন।

ডা. এম এস মলি

এমবিবিএস, এমফিল (খাদ্য ও পুষ্টি, ডিইউ)

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর