শনিবার, ১৮ মে, ২০১৯ ০০:০০ টা

রোজায় এড়িয়ে চলুন কোষ্ঠকাঠিন্য

রোজায় এড়িয়ে চলুন কোষ্ঠকাঠিন্য

পবিত্র রমজান মাস চলছে। এ সময় সুস্থ থাকাটা বেশি জরুরি। তাহলে রোজাসহ অন্যান্য ইবাদত নির্বিঘ্নে পালন করা যায়। খেয়াল রাখতে হবে বিভিন্ন অসুখ-বিসুখের ফলে যেন এসব ইবাদতে সমস্যা না হয়। তাই রোগবালাই সম্পর্কে সচেতন থাকা একান্ত আবশ্যক। এসব রোগের মধ্যে একটি হচ্ছে পায়ুপথের রোগ এনাল ফিসার। এনাল ফিসারকে সংক্ষেপে বলা যেতে পারে, পায়ুপথ ছিঁড়ে যাওয়া। অনেকটা কোষ্ঠ কাঠিন্য থেকেই এ রোগের প্রাথমিক শুরু। কোষ্ঠ হলে বা অতিরিক্ত চাপ দিয়ে মলত্যাগ করতে হলে এমনকি অনেক সময় ডায়রিয়া হলেও এনাল ফিসার হতে পারে। এনাল ফিসার হলে মলত্যাগের সময় মলদ্বারে তীব্র ব্যথা হয়। এই ব্যথা কয়েক ঘণ্টা এমনকি সারা দিন থাকতে পারে, রোগী মলত্যাগ করতে ভয় পায়, ফলে মল আরও কষা হয় এবং চক্রকারে এ প্রক্রিয়া চলতে পারে। মলের সঙ্গে রক্ত যায়, তবে অল্প। ক্রমান্বয়ে মলদ্বার সংকুচিত হয়ে মলত্যাগ সব সময়ের জন্য কঠিন হতে পারে। রমজানে আমরা সারা দিন সিয়াম সাধনার পর ইফতারের সময় খাই ভাজাভুজি ও উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবার। যেহেতু সারা দিন পানাহার বন্ধ থাকে সেহেতু ইফতারের সময় উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবারই কাম্য, সাহরির সময়ও একই ধরনের খাবারই আমাদের খেতে হয়। এতে শরীরের প্রয়োজনীয় শক্তি জোগান দেয় সত্য, কিন্তু অবধারিতভাবে কোষ্ঠ কাঠিন্য দেখা দেয়। যখন এই শক্ত কোষ্ঠ পরিষ্কার করতে হয় তখন প্রায় দেখা দেয় বিপত্তি। যাদের আগে থেকে মলদ্বারে এনাল ফিসার আছে বা মলদ্বার একটু সরু, তাদের এই সময়ে এনাল ফিসারের প্রকোপ নতুন করে দেখা দেয়, সরু হয় ব্যথা রক্ত যাওয়া। এসব রোগী অনেক সময় রোজা ভেঙ্গে ফেলেন। এনাল ফিসারের কারণে রমজানের নেয়ামত থেকে বঞ্চিত হওয়া অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। কিন্তু চেষ্টা করলেই এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। আর যাদের নেই কিন্তু কোষ্ঠ কাঠিন্যের ভাব আছে তারা এ সময় শাক-সবজি ও ফলমূল খেলে এ সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে পারেন।

অধ্যাপক ডা. এসএমএ এরফান, কোলোরেক্টাল সার্জন,

জাপান-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হসপিটাল, ধানমন্ডি, ঢাকা।

সর্বশেষ খবর