মঙ্গলবার, ২১ মে, ২০১৯ ০০:০০ টা

রমজানে নাক-কান-গলার যত্নে করণীয়

অধ্যাপক ডা. এম আলমগীর চৌধুরী

রমজানে নাক-কান-গলার যত্নে করণীয়

সাহরির সময় শেষ হওয়ার আগে ও ইফতারের সময় অনেকে তৈলাক্ত খাবার বেশি খেয়ে থাকে।  ফলে শরীরে বিভিন্ন প্রকার সমস্যা হয়ে থাকে। তাই রমজান মাসে খাদ্যাভ্যাসেও সংযমী হতে হবে।

সাইনোসাইটিস রোগীদের ক্ষেত্রে :

সাইনোসাইটিস রোগীদের ক্ষেত্রে নাকে স্প্রে বা ড্রপ ব্যবহারের প্রয়োজন হয়। অনেক রোগী জিজ্ঞাসা করে রোজা রেখে দিনের বেলায় নাকে ওষুধ দেওয়া যাবে কিনা? সেক্ষেত্রে সাহরির সময় শেষ হওয়ার আগে ও ইফতারের পরে নাকে ড্রপ বা স্প্রে ব্যবহার করা ভালো। দিনের বেলায় নাকে ড্রপ বা স্প্রে না দেওয়া ভালো।

কান পাকা রোগ ও অন্য সমস্যা :

কান পাকা রোগ বা কানে অন্যান্য রোগ হলে অনেক সময় কানে ওষুধ ব্যবহার করতে হয়। সেক্ষেত্রে সাহরির সময় শেষ হওয়ার আগে ও ইফতারের পরে কানে ওষুধ ব্যবহার করা ভালো। রোজা রেখে কানে ওষুধ দেওয়া যাবে না। কারণ কানের পর্দায় যদি ছিদ্র থাকে, এ ছিদ্রের মাধ্যমে ওষুধ গলায় চলে যেতে পারে।।

গলায় টনসিল প্রদাহে : টনসিল প্রদাহে বা গলার অন্যান্য ইনফেকশনের জন্য এন্টিবা-য়োটিক খেতে হয়। কিছু এন্টিবায়োটিক দিনে চারবার, কিছু আট ঘণ্টা পর পর, এবং অন্যান্য এন্টিবায়োটিক দুবার বা দিনে একবার খেতে হয়। পবিত্র রমজান মাসে আমরা দিনে একবার বা দুবার খেতে হয় এরকম ওষুধ ব্যবস্থাপত্রে দিয়ে থাকি। যাতে রোগী ইফতার করে বা সাহরি খাওয়ার আগে বা পরে ওষুধ খেতে পারে। কোনো রোগীর চেকআপ লাগলে তা রাতে করানো যেতে পারে। পবিত্র রমজান মাসে রোজাদারদের খাদ্যাভ্যাস একটা নিয়ম-নীতির মধ্যে চলে আসে। তাই পবিত্র রমজানে রোজাদাররা অনেক রোগ থেকে মুক্তি পায়। এবং শরীর ও মন সুস্থ থাকে। এমনকি পেপটিক আলসার, ডায়াবেটিস ও অন্যান্য রোগ নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। রমজান হলো সংযমের মাস, তাই ইফতার এবং সাহরির সময় সংযমী হওয়া প্রয়োজন।

লেখক : বিভাগীয় প্রধান, ইএনটি,

আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ঢাকা।

সর্বশেষ খবর