মঙ্গলবার, ৪ জুন, ২০১৯ ০০:০০ টা
জেনে রাখা ভালো

ব্রণের সাতকাহন

যদি ব্রণ ওঠে, তাহলে ছেলে হোক বা মেয়ে- কারওই মনে যন্ত্রণার কমতি থাকে না। ১৩ থেকে ১৯ বছর বয়সে এটি বেশি হয়। তবে ২০ থেকে ৩০ বছর বয়স পর্যন্ত এটি হতে দেখা যায়। টিনএজারদের মধ্যে শতকরা ৯০ শতাংশের ক্ষেত্রেই কম অথবা বেশি এটি হয়ে থাকে। ২০ বছর বয়সের পর থেকে এটি কমতে থাকে। সাধারণত মুখে; যেমন: গাল, নাক ও কপালে দেখা যায়।

কারণ : বংশগত প্রভাব এর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কারণ। স্বাভাবিকভাবেই লোমের গোড়ায় একটি ব্যাকটেরিয়া থাকে, যার নাম প্রোপাওনি ব্যাকটেরিয়াম একনি। বয়োসন্ধিকালে এড্রোজেন হরমোনের প্রভাবে সেবাসিয়াস গ্রন্থি থেকে সেবামের নিঃসরণ বেড়ে যায়। এই সেবাম থেকে ফ্রি ফ্যাটি এসিড তৈরি করে লোমের গোড়ার উপস্থিত ব্যাকটেরিয়া। ফলে আমাদের লোমের গোড়ায় প্রদাহের সৃষ্টি হয় এই ফ্যাটি এসিডের প্রভাবে। এর পাশাপাশি জমা হয় লোমের গোড়ায় কেরাটিন নামক পদার্থ। ফলে সেবাসিয়াস গ্রন্থিপথ বন্ধ হতে থাকে এই কেরাটিন, লিপিড আর মেলানিন পদার্থ দিয়ে যা ব্ল্যাক হেড বা ‘হোয়াইট হেড’ হিসেবে দেখা দিয়ে থাকে।

ডক্সিসাইক্লিন : এক্ষেত্রে বহুল ব্যবহৃত ডক্সিসাইক্লিন একটি চমৎকার ওষুধ।

এ ছাড়া এরিথ্রোমাইসিন খেয়ে যদি ব্যাকটেরিয়া রেজি-স্ট্যান্ট হয় সে থেকে ডক্সিসাইক্লিন কার্যকর ওষুধ।

এরিথ্রোমাইসিন বা ক্লিলনডামাইসিন : গর্ভবতী মহিলারা যখন টেট্রাসাইক্লিন খেতে পারে না তখন এরিথ্রোমাইসিন ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ক্লিনডামাইসিনও অন্য ওষুধের মতো কার্যকর।

হরমোন থেরাপি : মহিলাদের ক্ষেত্রে সেবামের নিঃসরণ বেড়ে যায়, যদি ওভারি থেকে এন্ডোজেন হরমোন তৈরি হয়। সে ক্ষেত্রে কম ডোজের জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি মুখে খাওয়া যাবে যাতে থাকতে হবে নন-এন্ডোজেন প্রজেসটিন যা ভূমিকা রাখে। ডাক্তারের পরামর্শে খেতে হবে।

ডা. দিদারুল আহসান, চর্ম ও যৌনরোগ বিশেষজ্ঞ, আলরাজী হাসপাতাল, ফার্মগেট, ঢাকা।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর