শনিবার, ৮ জুন, ২০১৯ ০০:০০ টা
জেনে রাখা ভালো

এই সময়ের খাদ্যাভ্যাস

ঈদ-পরবর্তী এই সময়ে খাবার দাবার নিয়ে সচেতন হতে হবে। এ সময় যেন একটি স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্যাভ্যাস বজায় রেখে সুস্থ থাকতে পারি। কারণ খাদ্যাভ্যাসে সজাগ দৃষ্টি না দিলে স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটতে পারে। খাবারে কোলেস্টেরল অথবা ক্ষতিকর চর্বির প্রভাব কমাতে সঠিক মেনু প্লানিং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যেমন গরু ও খাসির মাংসের সঙ্গে আমরা কিছু কোলেস্টেরল কন্ট্রোলিং ফুড যেমন সলুবল ফাইবার সমৃদ্ধ ফুড রাখতে পারি। দ্রবণীয় ফাইবার পাই আমরা বিভিন্ন ফল ও সবজি থেকে যেমন- শিম, বরবটি, গাজর, পেয়ারা, আপেল ইত্যাদি। এ ছাড়াও গরু খাসির বিভিন্ন অংশের মাংসের ফ্যাট ও কোলেস্টেরলের পরিমাণের তারতম্য রয়েছে। যেমন রানের মাংসের ফ্যাট ও কোলেস্টেরলের পরিমাণ সিনার মাংসের তুলনায় কম আবার প্রোটিনের পরিমাণ বেশি। ১০০ গ্রাম গরুর কলিজাতে কোলেস্টেরল আছে প্রায় ৪০০ মিলিগ্রাম এবং ১০০ গ্রাম মগজে কোলেস্টেরলের পরিমাণ গ্রায় ২৫০০ মিলিগ্রাম। আমাদের আরও জানা প্রয়োজন ১০০ গ্রাম গরুর মাংস থেকে আমরা পাই প্রায় ১২২ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল এবং ১০০ গ্রাম খাসির মাংস থেকে আমরা ৯৫-১০০ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল পেয়ে থাকি। মেনু তৈরির পাশাপাশি কিছু স্বাস্থ্যসম্মত রন্ধন প্রণালি ব্যবহার করে আমরা খাবারের কোলেস্টেরলের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। যেমন কাবাব আমরা ডুবো তেলে না ভেজে তেল ব্রাশ করে সেঁকে নিতে পারি। এ ছাড়া রান্নাতে টক দই, লেবুর রস, রসুন, সিরকা ইত্যাদি ব্যবহার করে কোলেস্টেরলের শোষণকে কমিয়ে আনা যায়। রান্নার আগে মাংস থেকে যতটা সম্ভব চর্বি কেটে বাদ দিতে হয়। এ ছাড়া যাদের রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি তারা মাংস রান্নার আগে একটু সিদ্ধ করে পানিতে ভাসমান চর্বিগুলো ফেলে রান্না করতে পারেন।

চৌধুরী তাসনীম হাসীন, চিফ নিউট্রিশনিস্ট, ইউনাইটেড হাসপাতাল লিমিটেড, ঢাকা।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর