সোমবার, ১০ জুন, ২০১৯ ০০:০০ টা
জেনে রাখা ভালো

গর্ভকালীন ত্বকের সমস্যা

গর্ভকালীন ত্বকের সমস্যা

পিগমেন্টেশন : গর্ভবতী মায়ের স্তনের বোঁটা ও তার আশপাশের ত্বক কালচে রঙ হয়। কিছু সংখ্যক ক্ষেত্রে বগল ও ঊরুতেও এ ধরনের পরিবর্তন দেখা যায়। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হচ্ছে মুখে মেছতা হওয়া যা কি না অন্তত ৫০ ভাগ ক্ষেত্রেই গর্ভাবস্থায় হতে দেখা যায়। প্রসব করার পর কিছুদিনের মধ্যেই এই পরিবর্তিত রং আবার আগের অবস্থায় ফিরে।

চুল : অনেক ক্ষেত্রেই গর্ভবতীর মুখে সামান্য পরিমাণ বা তার চেয়ে কিছু বেশি পরিমাণে অবাঞ্ছিত লোম গজাতে দেখা যায়, যা সাধারণত প্রসবের পর কমে যায়। তবে জটিল গর্ভাবস্থার সৃষ্টি হলে কিংবা অপারেশনের মাধ্যমে প্রসব করিয়ে থাকলে যদি অস্বাভাবিক রকমের শারীরিক বা মানসিক চাপ হতে দেখা যায় তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে প্রসবের এক থেকে পাঁচ মাসের মধ্যে সাংঘাতিক চুল পড়ে গেলেও সব ক্ষেত্রেই পুনরায় স্বাভাবিক অবস্থায় তা ফিরে আসে।

ত্বক ফাটা : গর্ভাবস্থাহায় ত্বকের ওপর চাপ পড়ে। পেট বড় হওয়ার কারণে ত্বক প্রসারিত হতে থাকে। এক পর্যায়ে যখন আর প্রসারণ ঘটার ক্ষমতা থাকে না, তখন ত্বকে ফাটল ধরে। এ অবস্থাকে বলা হয় STRIAE DISTENSAE। ৯০ ভাগ গর্ভবতীর ক্ষেত্রে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়ে থাকে। পেট ছাড়াও Hip, Buttock-এ এই পরিবর্তন হয়ে থাকে।

Pemphigoid Gestationist : গর্ভাবস্থায় এ রোগ কখনো কখনো হতে দেখা যায়। এ ক্ষেত্রে ফোস্কা থাকবে আর সঙ্গে থাকবে চুলকানি। যদিও রোগটি কম  দেখা যায় কিন্তু হলে কিন্তু অনেক কষ্ট-যন্ত্রণা দেয়। তাই সচেতন হোন।

ডা. দিদারুল আহসান, চর্ম ও যৌনরোগ বিশেষজ্ঞ, আলরাজি হাসপাতাল, ফার্মগেট, ঢাকা।

সর্বশেষ খবর