সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

গর্ভকালীন ডেঙ্গু

গর্ভকালীন ডেঙ্গু

গর্ভকালীন ডেঙ্গু হয়ে থাকলে ঐ রোগীকে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ (High risk) ডেঙ্গু রোগী বলা হয়। কারণ গর্ভকালীন এমনিতেই ঝুঁকিপূর্ণ, তার ওপর যে কোনো সাধারণ রোগও এ সময়ের ঝুঁকি অনেকটা বাড়িয়ে দেয়। ডেঙ্গুজ্বর যেহেতু একটি ঝুঁকিপূর্ণ জ্বর তাই গর্ভাবস্থায় এই জ্বর হলে এটা খুবই স্বাভাবিক যে রোগীর অবস্থা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যায়। গর্ভকালীন ডেঙ্গু হলে রোগীর প্রতি আমাদের বিশেষ যত্নবান হতে হবে।

মৃদু ডেঙ্গু (Mild dengue): মৃদু ডেঙ্গু হলে আমরা জানি রোগীকে বাসায় চিকিৎসা দিলেও চলে। হাসপাতালে ভর্তির দরকার নেই। মৃদু ডেঙ্গু বলতে আমরা বুঝি যেখানে জ্বর ছাড়া অন্য কোনো জটিলতা নেই, রক্তচাপ স্বাভাবিক, প্লাটিলেটের সংখ্যা স্বাভাবিক, কোনো রক্তক্ষরণের লক্ষণ নেই। শরীরের অন্য অঙ্গগুলোও (Liver, kidney, brain ইত্যাদি) স্বাভাবিকভাবে কাজ করে যায়। কিন্তু গর্ভকালীন যদি রোগী মৃদু ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয় তাহলেও বাসায় না রেখে হাসপাতালে স্থানান্তর করা উচিত।

হাসপাতালে ভর্তি করার পর রোগীকে ঘন ঘন ফলোআপ করা, রোগীর শিরায় ফ্লুইড শুরু করা এবং নিকট আত্মীয়ের সঙ্গে কাউন্সিলিং করা উচিত। রোগীর চিকিৎসার ব্যাপারে মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, ধাত্রীবিদ্যা বিশেষজ্ঞ এবং নবজাতক বিশেষজ্ঞ মিলে একটি যুগ্ম পরিচর্যা টিম (Joint management team) গঠন করা উচিত। সে টিমের প্রধান হবেন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ। গর্ভকালীন ছাড়া অন্য স্বাভাবিক সময়ে যে হারে শিরায় ফ্লুইড দিতে হতো, গর্ভকালীন উক্ত রোগীকে সে হারেই শিরায় ফ্লুইড দিতে হবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে যাতে করে ফ্লুইড-অতিরিক্ততা (Fluid overload) না হয়। রোগীর গর্ভধারণ করার আগে যে ওজন ছিল সে ওজন হিসাব করে শিরায় ফ্লুইড দিতে হবে।

অধ্যাপক ডা. মো. ফয়জুল ইসলাম চৌধুরী, মেডিসিন বিভাগ (পিআরএল), ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর