আপনি ঘাড় ব্যথা নিয়ে চিকিৎসকের কাছে গেলেন, চিকিৎসক এক্সরে করে জানালেন আপনি হাড়ের ক্ষয় রোগে আক্রান্ত। কিংবা হঠাৎ পড়ে গিয়েছিলেন, পরীক্ষা করে দেখা গেল আপনার মেরুদন্ডের হাড় ভেঙে গেছে। অনেকেই প্রশ্ন করেন এমনটি কেন ঘটে? পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ না করা, দেহে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি-এর অভাব, অতিরিক্ত ওজন, দৈহিক পরিশ্রম না করাই এর প্রধান কারণ। আমাদের দেহের মূল কাঠামো হাড় দিয়ে তৈরি, যাকে আমরা কঙ্কাল বলি। মাংসপেশি, হার্ট, কিডনি ইত্যাদির জন্য যেমন পুষ্টির দরকার হয় ঠিক তেমনি হাড়ের সঠিক বেড়ে ওঠা ও ভালো স্বাস্থ্যের জন্য পুষ্টির প্রয়োজন। ছোটবেলা থেকে হাড় সঠিক পুষ্টি না পেলে হাড়ে নানা রকম সমস্যা তৈরি হতে পারে। এর মধ্যে হাড়ের ঘনত্ব কমে যাওয়া বা অস্টিও পোরোসিস অন্যতম। অস্ট্রিও পোরোসিস একটি নীরব ঘাতক ব্যাধি। আপনি এই রোগে আক্রান্ত কিনা পরীক্ষা ছাড়া জানা খুবই দুরূহ। হাড় ভেঙে বা ক্ষয় হয়ে যাওয়ার পর বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিলে পরীক্ষা করে দেখা যায় আপনার হাড়ের মিনারেলের ঘনত্ব খুবই কম অর্থাৎ রোগী অস্টিও পেনিয়া বা অস্টিও পোরোসিসে আক্রান্ত।
এ থেকে মুক্তি পেতে কী করতে হবে? হঠাৎ হাড় ভেঙে যাওয়া থেকে মুক্তি পেতে আমাদের বয়স ৪০ হওয়ার আগেই বা সঙ্গে সঙ্গে হাড়ের মিনারেলের ঘনত্ব বা BMD টেস্ট করতে হবে। এই পরীক্ষার পর জানা যাবে আপনার হাড়ের কী অবস্থা এবং হাড়ের অবস্থা জেনে সেই অনুযায়ী চিকিৎসা করালে আপনি বড় ধরনের ক্ষতি থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারবেন। তাই হাড়ের ঘনত্ব পরীক্ষা করা জরুরি। এতে করে ভবিষ্যতের অনেক জটিলতা হারানো সম্ভব।
ডা. মোহাম্মদ আলীফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞ, এইচপিআরসি, উত্তরা, ঢাকা।