শনিবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

হে ফিভার অনবরত হাঁচি

হে ফিভার অনবরত হাঁচি

হে ফিভার বা অ্যালার্জি হলে সেই রোগীর অধিক পরিমাণ হাঁচি হতে থাকে। নাক দিয়ে সব সময় পানির মতো পড়তে থাকে এবং নাক বন্ধ হয়ে যায় এবং নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয়। এ রোগের উৎপত্তি সাধারণত ধুলাবালি থেকে ফুলের রেণু, তুলার আঁশ বা রোগী সেসব খাবার খেলে অ্যালার্জি হয়ে থাকে। এই অ্যালার্জির কারণে হে ফিভার বা অনবরত হাঁচি হতে থাকে। বিশেষ করে ঋতু পরিবর্তনের সময় রোগীদের এ ধরনের উপসর্গ বেশি দেখা যায়। অর্থাৎ আমাদের দেশে বিশেষ ঋতুতে বিশেষ কোনো ফুল যেমন হতে পারে ঘাসফুল বা সজিনা ফুল ফুটলে এ ফুলের রেণুগুলো বাতাসের সঙ্গে মিশে নিঃশ্বাসের সঙ্গে মানুষের শরীরে প্রবেশ করেও অ্যালার্জি সৃষ্টি হয়। সাধারণত এটা ঘাসফুলের রেণু থেকেই বেশি অ্যালার্জি হয়। অনেক খাবার থেকে বা ধুলাবালি থেকে যদি অ্যালার্জি সৃষ্টি হয় তাহলে প্রায় সারা বছরই এ রোগের উপসর্গগুলো দেখা যায়। এই রোগের নাম হে ফিভার হলেও অ্যালার্জির কারণে হাঁচিতে জ্বর হয় না। কোন জিনিস থেকে এ রোগের সূত্রপাত হয় সেটা আগে নির্ণয়ের চেষ্টা করতে হবে। এরপর সাধারণত সেসব জিনিস থেকে একটু দূরত্ব বজায় রাখলে এ রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। 

রোগের লক্ষণ : হে ফিভার রোগ হলে রোগীর মধ্যে যেসব লক্ষণ দেখা দিতে পারে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- * রোগীর চোখ চুলকায় এবং নাকের মধ্যে শিরশির করে। * নাক দিয়ে পানি পড়তে থাকে এবং বার বার হাঁচি আসে। * মুখচোখ ফুলাফুলা থাকে এবং চোখ লাল হয়ে যায়। * কোনো জ্বর থাকে না। 

পরামর্শ : রোগীকে সতর্কতার সঙ্গে চলাফেরা করতে হবে যেন ঠান্ডা বাতাস না লাগে। * হাঁচি এবং নাকের পানি বন্ধ করার জন্য রোগীকে ক্লোরফেনিরামিন মেলিয়েট জাতীয় ওষুধ দেওয়া হয়। যেমন, ট্যাব আকারে যেগুলো দেওয়া হয় তাহলো : ট্যাব, পিরিটন বা ট্যাব, এনটিসটা বা ট্যাব, ডিস্টামিন বা ট্যাব, হিস্টালেক্স বা ট্যাব হিস্টাসিন বা ট্যাব, হিস্টাল ইত্যাদি। এ ওষুধগুলো যেসব রোগী ট্যাব খেতে পারে না তাদের জন্য সিরাপও পাওয়া যায়। এ সিরাপ প্রতিদিন এক থেকে দুই চামচ করে তিনবার খাবার খাওয়ার পর তিন/পাঁচ দিন চলবে। তাই এসব রোগবালাই নিয়ে আরও সচেতন হতে হবে।

প্রাথমিক অবস্থা থেকে এসব রোগের চিকিৎসা নিতে হবে। অন্যথায় জটিলতা বাড়ার আশঙ্কা থাকে।

অধ্যাপক ডা. এ কে এম মোস্তফা হোসেন, বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ, মেডিনোভা, মালিবাগ, ঢাকা।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর