শনিবার, ১৮ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

ফাংশনাল ওভারিডান সিস্ট

ফাংশনাল ওভারিডান সিস্ট

ওভারিয়ান সিস্ট এবং টিউমার দুটি আলাদা বিষয় হলেও অনেক সময় এ নিয়ে কনফিউশন থেকে যায়, যার ফলে ওভারিতে ফাংশনাল/ফিজিওলজিক্যাল সিস্ট থাকলেও সঠিকভাবে বুঝতে না পেরে রোগীরা দুচিন্তায় ভোগেন। যদিও এ ধরনের সিস্টগুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আপনা-আপনি মিলিয়ে যায়, দেখা যায় গ্রামে-গঞ্জে কিছু অসাধু লোকজন এমন রোগীর অপারেশন করিয়ে তাদের প্রতারিত করে থাকে।

সিস্ট’র কারণ : যদি কোনো কারণে হরমোনের তারতম্য হয় তবে ফাংশনাল বা ফিজিওলজি-ক্যাল সিস্ট তৈরি হতে পারে। এমন কিছু সিস্ট হচ্ছে ফলিকুলার এবং কর্পাস লুটিয়াম সিস্ট।  হরমোনাল ইমব্যালেন্স হলে ওভুলেশন বা ডিম্বস্ফুটন ব্যাহত হয়। নিয়মিতভাবে  ডিম্বস্ফুটন না হলে ডিমের এই আবরণীর মধ্যে পানি জমে পরবর্তীতে ফলিকুলার সিস্টে পরিণত হয়।

ফাংশনাল ওভারিয়ান সিস্টের লক্ষণ : সাধারণত  এরা  Asymptomatic হয়ে থাকে, অর্থাৎ কোনো লক্ষণ প্রকাশ করে না। তবে কিছু ক্ষেত্রে তলপেটে ব্যথা হতে পারে। # বিভিন্নরকম ওভারিয়ান সিস্টের মধ্যে ফলিকুলার সিস্ট সবচেয়ে কমন, যা পলিসিস্টিক ওভারিতে হয়ে থাকে। এ ধরনের রোগীরা অনিয়মিত মাসিক এবং বন্ধ্যত্বের মতো সমস্যায় ভুগে থাকে। এছাড়া এ সিস্টের সঙ্গে সম্পর্কিত অন্য যে সমস্যাগুলো থাকতে পারে তা হচ্ছে- অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি,  ব্লাড সুগার বা কোলেস্টেরল বাড়া।

ডায়াগনোসিস : ফাংশনাল সিস্টের সাইজ সাধারণত ৫-৭ সেমি হয়ে থাকে, ভিতরে ক্লিয়ার ফ্লুয়িড/পানি থাকে-আল্ট্রাসাউন্ড (Lower abdomen / TVS) এর মাধ্যমে ডায়াগনোসিস হয়।

কিছু কিছু ক্ষেত্রে টিউমার মার্কার যেমন- CA-125, MRI, CT scan দিয়ে এর প্রকৃতি সম্পর্কে ধারণা করা হয়।

ডা. নুসরাত জাহান, গাইনি বিশেষজ্ঞ, ডেলটা মেডিকেল কলেজ, ঢাকা।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর