মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা
জেনে রাখা ভালো

স্বরের যত্ন...

অন্যের সঙ্গে যোগাযোগ করা, নিজের প্রয়োজনের কথা জানানোর জন্য কণ্ঠস্বরের বিরাট ভূমিকা। বিভিন্ন কারণে কণ্ঠস্বরের সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন- ঊর্ধ্ব শ্বাসনালির সংক্রমণ, কণ্ঠস্বরের অন্যান্য ব্যবহার, স্বরযন্ত্রের ক্যান্সার, নিউরোমাসকুলার সমস্যা, এমনকি মানসিক আঘাত। গলার স্বর ফ্যাসফেসে হয়ে গেলে, বিশেষ কোনো উঁচু স্কেলে গান গাইতে কষ্ট হলে, হঠাৎ করে স্বর বসে গেলে, গলা ব্যথা করলে বা কথা বলতে কষ্ট হলে, বারবার গলা পরিষ্কার করার প্রয়োজন হলে বুঝতে হবে, ভালো নেই কণ্ঠ স্বাস্থ্য। অটোল্যারিঙ্গো-লজিস্ট বলতে পারবেন এ অসুবিধার হেতু কি। স্পিচ-ল্যাঙ্গুয়েজ-প্যাথলজিস্ট সাহায্য করতে পারবেন কণ্ঠস্বরের ব্যবহার কৌশল উন্নয়নের ক্ষেত্রে।

কণ্ঠস্বর ভালো রাখার

কৌশল : চা, কফি, কোমল পানীয় গ্রহণে সাবধান হতে হবে। খেতে হবে পরিমিত। * খেতে হবে প্রচুর পানি। দিনে অন্তত আট থেকে দশ গ্লাস পানি পান করার অভ্যাস করতে হবে। * ধূমপানের বদ অভ্যাসটি থেকে মুক্তি পেতে হবে। কারণ ধূমপায়ীদের মধ্যে স্বরযন্ত্রের ক্যান্সারের হার অনেক বেশি। * কথা বলার সময় বুকের ডায়োফ্রামের মাংসপেশির সাহায্য নিতে হবে। ফুসফুস তার হাওয়ার চালানো দিয়ে কথা তৈরিতে যেন সহায়তা করে। অন্যথায় স্বরযন্ত্রের ওপর পড়ে যায় বাড়তি চাপ। * ঝাল খাবার বর্জন করতে হবে। ঝাল থেকে বেড়ে যায় পাকস্থলির এসিড। আর তা উঠে আসতে পারে খাদ্যনালি বেয়ে, যাকে বলা হয় রিফ্লাক্স। * ঘরের ভিতর আর্দ্রতা যেন শতকরা তিরিশের মতো থাকে, দরকার হলে হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করা উচিত।  নিজের হাত দুটো প্রায় ধুয়ে নেওয়ার অভ্যাস করুন। এতে সর্দিজ্বর আর ইনফ্লুয়েঞ্জা কাবু করতে পারবে কম। তাই প্রাথমিক অবস্থা থেকে এসব বিষয়ে যত্নবান হতে হবে। অন্যথায় জটিলতা বাড়ার আশঙ্কা থাকে।

অধ্যাপক মনিলাল আইচ লিটু বিভাগীয় প্রধান, নাক-কান-গলা বিভাগ, মুগদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, ঢাকা।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর