শনিবার, ৪ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা
করোনাভাইরাস

জেনে রাখা ভালো

স্বাস্থ্য ডেস্ক

বিশ্বজুড়ে মহামারীর রূপ পাওয়া নভেল করোনাভাইরাস ছড়াচ্ছে আতঙ্ক, সেই সঙ্গে ছড়িয়ে পড়ছে অসংখ্য গুজব। কভিড-১৯-এর শুরুর দিকের লক্ষণগুলো হলো জ্বর, ক্লান্তি ভাব, শুষ্ক কাশি, শরীর ব্যথা, নাক বন্ধ, নাক দিয়ে পানি পড়া, গলাব্যথা ইত্যাদি; পাতলা পায়খানাও হতে দেখা যায়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কিছু মানুষের ক্ষেত্রে এসব লক্ষণের তীব্রতা বাড়ে এবং মৃদু থেকে তীব্র শ্বাসকষ্ট হতে পারে। আবার কারও কারও ক্ষেত্রে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পরও কোনোরকম লক্ষণ প্রকাশ পায় না বা মৃদু লক্ষণ থাকতে পারে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এই ভাইরাসের সংক্রমণ মারাত্মক হতে পারে। এর ফলে নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট এবং অর্গান বিপর্যয়ের মতো ঘটনাও ঘটতে পারে। অ্যাজমা রোগীর ক্ষেত্রে করোনাভাইরাস সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ; যারা ইতিমধ্যে অ্যাজমা বা শ্বাসকষ্টে ভুগছেন, তাদের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঘটলে শ্বাসতন্ত্রের জটিলতা আরও বাড়তে পারে। ইমিউনিটি সিস্টেম যাদের দুর্বল বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যাদের কম যেমন-ডায়বেটিস, কিডনি বিকল, হৃদরোগী, শ্বাসকষ্টজনিত রোগে যারা ভুগছেন এবং বিশেষ করে বৃদ্ধরা মারাত্মক করোনা ঝুঁকিতে রয়েছেন। ধূমপায়ীদের মধ্যে এই ভাইরাসের মারাত্মক প্রভাব লক্ষ করা যায়। ধূমপানের ফলে  ফুসফুসের কার্যক্ষমতা কিছুটা কম থাকে বিধায় এ ভাইরাস শ্বাসনালি ও ফুসফুসকে আক্রমণ করে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এ ভাইরাসের উপসর্গগুলো প্রকাশ পেতে গড়ে পাঁচদিন সময় লাগে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর