১ম-তৃতীয় দিন : সাধারণ সর্দি কাশি, হালকা গলাব্যথা, তেমন কোনো জ্বর নেই, আপেক্ষিকভাবে সুস্থ এবং খাওয়া দাওয়া করতে সমস্যা হবে না। ৪র্থ দিন : গলাব্যথা প্রথম তিন দিনের তুলনায় কিছুটা বেশি। মাথা ঘোরা ও কিছুটা ভারসাম্যহীন অনুভব করা, কথা বলতে কষ্ট হওয়া, শরীরের তাপমাত্রা ৯৮.৪ ডিগ্রি সে. এর আশপাশে, খাওয়া-দাওয়া করতে সমস্যা হওয়া, মাথাব্যথা, অনেক সময় ডায়রিয়ার মতো হওয়া।
পঞ্চম দিন : গলাব্যথা আগের চেয়ে বেশি, কথা বললে গলায় বেশি ব্যথা করা। দেহের তাপমাত্রা ৯৮.১ ডিগ্রি সে. - ৯৮.৪ ডিগ্রি সে.-এর কাছাকাছি। শারীরিক দুর্বলতা ও জয়েন্টে জয়েন্টে ব্যথা। ষষ্ঠ দিন : জ্বরের তীব্রতা আস্তে আস্তে বেড়ে ৯৮ক্ক-এর আশপাশে থাকা। শুকনা কাশি শুরু হওয়া। কথা বলার সময় বা ঢোক গিলতে গেলে ব্যথা করা। অস্বাভাবিক দুর্বলতা, বমি বমি ভাব, মাঝে মাঝে শ্বাসকষ্ট হওয়া। হাতের আঙ্গুলগুলোতে ব্যথা শুরু হওয়া। বমি, ডায়রিয়া।
৭ম দিন : উচ্চমাত্রায় জ্বর (৯৯.৩ ডিগ্রি সে. - ১০০ ডিগ্রি সে.), কফসহ কাশি, মাথা ও শরীর ব্যথা, বমি ও ডায়রিয়া বৃদ্ধি পাওয়া। ৮ম দিন : জ্বরের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে ১০০.৪ ডিগ্রি সে. এর উপরে চলে যায়, শ্বাসকষ্ট এবং প্রতিবার শ্বাসপ্রশ্বাস নেওয়ার সময় বুক ভার ভার লাগে, বিরতিহীন কাশি, মাথা ব্যথা, জয়েন্ট ব্যথা এবং কোমরের মাংস ব্যথা। ৯ম দিন : আগের সব সিম্পটম থাকবে তবে সেগুলো মারাত্মক আকার ধারণ করা যেমন-জ্বরের অবস্থা আরও অবনতি, শ্বাসপ্রশ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার অবস্থা। এ লক্ষণ দেখা দিলে, IEDCR-এর ফোন নম্বরে দ্রুত যোগাযোগ করতে হবে।- ডা. এম ইয়াছিন আলী, জনস্বাস্থ্য বিষয়ক লেখক।