সোমবার, ৪ মে, ২০২০ ০০:০০ টা
জেনে রাখা ভালো

রেমডেসিভির কী?

স্বাস্থ্য ডেস্ক

করোনাভাইরাসে প্রতি মুহূর্তে মারা যাচ্ছে মানুষ।  কিন্তু সঠিক কোনো চিকিৎসা দেওয়া যাচ্ছে না।  কারণ এখনো পর্যন্ত এই ভাইরাসের কোনো প্রতিষধক আবিষ্কার সম্ভব হয়নি। প্রতিষেধক ও ওষুধের খোঁজে হন্যে গবেষকরা। এমন সময়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওয়েবসাইটে কিছুক্ষণের জন্য ভেসে ওঠে একটা রিপোর্ট। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছিল, করোনা-নিরাময়ে চীনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে ব্যবহৃত ওষুধ ‘রেমডেসিভির’ সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে।  যেটুকু আশা দেখা দিয়েছিল, তাও নিভে যায় তখনই। তবে কে জানত, পরিস্থিতি বদলে যেতে আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা বাকি!

কিছুক্ষণের মধ্যেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওয়েবসাইট থেকে ওই তথ্য তুলে নেওয়া হয়। জানানো হয়, রেমডেসিভির সংক্রান্ত রিপোর্ট ভুল। জিলিয়াড সায়েন্সে-এর তৈরি করা অ্যান্টিভাইরাল ড্রাগ ‘রেমডেসিভির’ সম্পর্কে রিপোর্টের খবরটি প্রথম প্রকাশ্যে আনে ব্রিটিশ দৈনিক ‘ফিনান্সিয়াল টাইমস’। পরে ফিনান্সিয়াল টাইমসকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, ভুল করে ওই খসড়া রিপোর্ট প্রকাশ্যে চলে এসেছিল।

এই ভুল স্বীকারের পর থেকেই করোনা-রোধের এই অ্যান্টিভাইরাল ড্রাগ ‘রেমডেসিভির’ নিয়ে আগ্রহ শুরু হয় গোটা বিশ্বে। ‘জিলিয়াড সায়েন্সেস’-ও দাবি করে, ভুলবশত প্রকাশ্যে আসা এবং ডিলিট করে দেওয়া কোনো রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে ড্রাগটি নিয়ে কোনো সিদ্ধান্তে আসা ঠিক নয়। বরং এই ওষুধের কিছু সুফল পাওয়া গেছে বলে জানায় সংস্থা। চীনে রেমডেসিভিরের প্রথম ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল হয়। চীনের পাশাপাশি ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু হয় আমেরিকাতেও। মার্কিন এপিডেমিয়োলজিস্ট অ্যান্টনি ফসি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ভুল নস্যাৎ করে দিয়ে দাবি করেন, যে সব করোনা-রোগীকে রেমডেসিভির দেওয়া হয়েছে, তারা অন্যদের থেকে ৩০ শতাংশ দ্রুত সুস্থ হয়েছেন।  এ দাবি থেকেই আশার আলো দেখেতে শুরু করেছেন বিজ্ঞানীরা।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর