শিরোনাম
মঙ্গলবার, ৫ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

জেনে রাখা ভালো

স্বাস্থ্য ডেস্ক

করোনাভাইরাস থেকে মুক্তির এখনই কোনো উপায় দেখছেন না বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রস অ্যাডানম ঘেব্রিইয়েসাস। সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান জানান, এখনই লকডাউন ছেড়ে বেরোনো কোনো দেশের পক্ষেই উচিত নয়। কারণ, বিপদ এখনো কাটেনি। এদিকে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর রক্ত রস বা প্লাজমাকে কাজে লাগিয়ে এই ভাইরাসে আক্রান্তদের সারিয়ে তোলার চেষ্টা চালাচ্ছেন বিশ্বের একাধিক দেশের অসংখ্য চিকিৎসক, গবেষক। এই চিকিৎসা পদ্ধতিতে প্লাজমা থেরাপি বলছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু করোনার চিকিৎসায় এই প্লাজমা থেরাপির ওপর এখনই নির্ভরশীল হওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সংস্থাটি বলছে, এখনই এ বিষয়ে নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যাবে না।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, চিকিৎসায় সেরে ওঠা মানেই শরীরে করোনার অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে গেছে, এমন প্রত্যক্ষ প্রমাণ এখনো মেলেনি। তাই করোনার চিকিৎসায় প্লাজমা থেরাপির ওপর এখনই নির্ভরশীল হওয়া যাচ্ছে না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই মতামতের সমর্থনে ভারতের মোহালির ‘ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ’-এর অধ্যাপক, ভাইরাস বিশেষজ্ঞ ড. ইন্দ্রনীল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “কোনও ব্যক্তি একবার করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠলে তিনি আর এই ভাইরাসে আক্রান্ত হবেন না, তা একেবারেই সঠিক নয়। বরং উল্টোটাই হয়েছে। আর্জেন্টিনা, ইতালি এমনকি ভারতের মহারাষ্ট্রেও একই ব্যক্তির দু’বার করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা সামনে এসেছে।” ডা. বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “১৪ দিন বা ২০ দিন নয়, মানব দেহে করোনাভাইরাস ৩৭ দিন পর্যন্ত সক্রিয় থাকতে পারে। সম্প্রতি ফ্রান্সের বিজ্ঞানীরা একটি গবেষণায় এমনই প্রমাণ পেয়েছেন। ফলে এই সময়ের মধ্যে কোনো ব্যক্তি একবার সেরে ওঠার পর কোনো রকম অসতর্কতায় বা দুর্বল শরীরের কারণে ফের করোনায় আক্রান্ত হতে পারেন।”

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর