সোমবার, ১১ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

নিরাপদ থাক বাঙালি নিরাপদে থাকুক বাংলাদেশ

♦ অধ্যাপক ড. নাছরীন সুলতানা জুয়েনা ♦ ড. মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান মোল্লা

নিরাপদ থাক বাঙালি নিরাপদে থাকুক বাংলাদেশ
এই যুদ্ধে জয়ী হতে হলে অতীব জরুরি সুনির্দিষ্ট চারটি কর্ম-পরিকল্পনা ঠিক রাখতে হবে এবং এই কর্মগুলো সম্পাদনের জন্য সঠিক যোদ্ধাদের কাজে লাগাতে হবে

পৃথিবী এক দুঃসময়ে আছে। কারণ, ১২০ ন্যানোমিটার ব্যাসের একটি অণুজীব ১২৮৭২ কিলোমিটার ব্যাসের পৃথিবীকে ঝাপটে ধরে থামিয়ে রেখেছে। এই থামানোটাকে নাম দিয়েছি ‘লকডাউন’ বা ‘করোনাছুটি’। যেই ছুটিটা আমরা বার্ষিক দিন পঞ্জিকায় রাখিনি, ভিশন-৪১ বা মিলেনিয়াম প্ল্যানসহ কোনো ডেভেলপমেন্ট প্ল্যানে লিপিবদ্ধ হয়নি, যে ছুটিটার জন্য আমরা কখনো অপেক্ষা করিনি। এই বিপর্যস্ত অবস্থায় শুধু মানুষ মারা যাচ্ছে না, রাষ্ট্রের বা সমাজের ফাঁক-ফোকরগুলোও বের হচ্ছে, রাষ্ট্রের সরলতা বা দুর্বলতা সব প্রকাশ পাচ্ছে। আমরা যখন লেখাটি লিখছি তখন বাংলাদেশে ১৪৬৫৭ জন করোনা সংক্রমিত রোগী শনাক্ত হয়েছে। কিন্তু এটা ৫০ জনে সীমাবদ্ধ রাখাটা অনেকটাই আমাদের আয়ত্তের মধ্যে ছিল। বাংলাদেশের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) কর্তৃক প্রকাশিত বিগত কয়েক দিনের প্রতিবেদন বিশ্লেষণে দুটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যায়। প্রথমটি আমাদের দেশে বর্তমানে শনাক্তকৃত ২১-৪০ বছর বয়সী জনগণের মধ্যে করোনা সংক্রমণের হার (২০-২৩%)। অন্য দেশের তুলনায় অনেক বেশি, এমনকি আমেরিকা এবং ইউরোপের চেয়ে অনেক বেশি। যুবকদের কাজের জন্য বাইরে যাওয়া বা বিপর্যয়টির প্রতি উদাসীনতা এর কারণ বলে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। দ্বিতীয়টি-প্রতিদিন প্রায় ২৬% হারে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে এবং এই বৃদ্ধিটি নমুনা পরীক্ষা সংখ্যা বৃদ্ধির (প্রায় ১৭%) সঙ্গে সম্পূরক, যার অর্থ দাঁড়ায় একটি বিরাট সংখ্যা ইতিমধ্যে আক্রান্ত হয়ে গেছে, নমুনা পরীক্ষা শুধু তা এখন নিশ্চিত করছে। বাংলাদেশে সংক্রমিত ব্যক্তিদের সংস্পর্শে আসা সংবেদনশীল জনসংখ্যা প্রধানত দুই ভাগে বিভক্ত। ক. লক্ষণ প্রকাশ ব্যতীত সংক্রমিত জনসংখ্যা। যাদের কোনো শনাক্তকরণ ছাড়াই কোয়ারেন্টাইনে দেওয়া হয়। খ. লক্ষণ প্রকাশসহ সংক্রমিত জনসংখ্যা-যাদের শনাক্তকরণ করে (বানাকরে) আইসোলেশনে রাখা হয়। যাদের অবস্থা সংকটাপন্ন তাদের আইসিইউতে নেওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসাবিজ্ঞান অনুসারে কোনো সংক্রমন রোগের সংবেদনশীল জনসংখ্যার ক্ষেত্রে এ দুটি বিভাগের প্রত্যেকটির দুটি উপ-বিভাগ আছে- ক-১ লক্ষণ প্রকাশব্যতীত সংক্রমিত জনসংখ্যা অণুজীব ধারণ ও বহন করছে (পজিটিভ), ক-২ ক-১ লক্ষণ প্রকাশ ব্যতীত সংক্রমিত জনসংখ্যা অণুজীব ধারণ ও বহন করছে না (নেগেটিভ), খ-১ লক্ষণ প্রকাশসহ সংক্রমিত জনসংখ্যা, টেস্ট করা হয়েছে এবং চিকিৎসা করা হয়েছে; খ-২ লক্ষণ প্রকাশসহ সংক্রমিত জনসংখ্যা-টেস্ট করেনি ও ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়নি। ক-১ ও খ-২ উপ-বিভাগের জনসংখ্যা এই রোগ সংক্রমণের জন্য খুব ভয়ঙ্কর মাধ্যম হিসাবে কাজ করে। আমরা অনুমান করছি যে, আমাদের দেশে এই এক মাসেই যে সংখ্যক ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত হচ্ছেন তা শুধু ক-১ স্তর দ্বারা সংক্রমণের একটি দৃশ্যমান প্রমাণ মাত্র। এ ধরনের ঝুঁকির কথা বিবেচনা করেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বেশি বেশি নমুনা শনাক্ত করার ওপর জোর দিয়েছে। বিশেষ করে কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিদের নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষার নির্দেশনা দিয়েছে। এটা সত্য, আমাদের দেশে এরকম একটি নতুন পেন্ডেমিক অবস্থায় স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনা, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের কাছে একেবারেই নতুন একটি বিষয় এবং অপ্রতুল অভিজ্ঞতার ছাপ দৃশ্যমান। তাই আমাদের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা যথাযথ মেনে চলতে হবে। এখানে ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তাহলে ডাক্তার মো. মঈন উদ্দিনের মতো আমরা আরও অনেক মানবতাপ্রেমী বীরযোদ্ধাদের অকালে হারিয়ে ফেলব। মহান আল্লাহতায়ালা তাদের আত্মার শান্তি দান করুন। বাংলাদেশের বেশিরভাগ এলাকায় করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পেছনে অনুমেয় প্রধান কারণগুলো এখানে তুলে ধরছি-

(১) অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, এই বৈশ্বিক দুর্যোগটিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জন্য একটি যুদ্ধ মনে করে এর মোকাবিলা করার জন্য শুধু এই মন্ত্রণালয়কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাই আকাশপথ ও স্থলপথে নিরাপত্তাবলয় তৈরিতে আমরা দেরি করে ফেলেছি। স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে সভাপতি করে আরও ১১টি মন্ত্রণালয় নিয়ে ৩১ সদস্যের যে জাতীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে সেখানে কয়েকজন বাদে অন্যান্য সদস্য নিজ দায়িত্ব পালনে কতখানি শক্ত ও দায়িত্ববান তা এখনো জনসাধারণের দৃষ্টিগোচর হয়নি। বিশেষ করে, এ সময়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ব্যবসায়ীদের অর্থোন্নতির প্ল্যান জাতীয় সমন্বয়হীনতাকে আরও হাস্যকর ও অসহনীয় করে তুলেছে।

(২) বাংলাদেশের নিম্ন-মধ্যবিত্ত ও গরিব শ্রেণির জনসাধারণের মিথ, চিন্তাধারা বা তাদের বোঝার ক্ষমতাকে যথযথ গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। তারা লকডাউন বা কোয়ারেন্টাইন শব্দগুলোর সঙ্গে বেশি পরিচিত নয় বা এর মানে এখনো বুঝে উঠতে পারেনি। প্রাথমিক শনাক্তকরণের পরপরই আক্রান্ত অঞ্চলে জনগণের চলাচল কারফিউ দিয়ে নিষিদ্ধ করতে স্থানীয় প্রশাসন অনেকটাই সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছে। তা ছাড়া ধর্মীয় গোঁড়ামি দূর করতে ধর্মীয় প্রচারণা আশাব্যঞ্জক ছিল না। তা ছাড়া, সময়কাল অনিশ্চিত সাধারণ ছুটিতে একটা বড় সংখ্যার জনসাধারণের ত্রাণের প্রয়োজন হবে এটা জানা ছিল। কিন্তু শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তার সঙ্গে ত্রাণকার্য চালানোর মতো শক্ত পরিকল্পনার অভাব ছিল বা এখনো আছে।

(৩) এই দুর্যোগে প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়াগুলোর ভূমিকা আমাদের দৃষ্টিতে প্রথম থেকেই পজিটিভ ছিল এবং এখনো আছে। কিন্তু এদের করা রিপোর্টগুলো খুব গুরুত্বসহকারে দেখা হয়নি বলে মনে করি। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সার্বিক শক্তিশালী প্রস্তুতি ভুক্তভোগীদের কাছে অভিভাবকহীন আত্মীয়স্বজন বঞ্চিত অভাবের সংসারকে মনে করিয়ে দিচ্ছে এবং জরুরি কাজে নিয়োজিতদের মধ্যে অস্থিরতা বাড়িয়ে সংকট আরও ঘনীভূত করছে। না, কাউকে দোষারোপ করছি না। যতটুকু কমতি আছে তা কীভাবে পূর্ণ করা যায় শুধু তাবলার জন্য এই লেখাটা ক্ষুদ্র প্রয়াস মাত্র। কিছু প্রস্তাব রাখতে চাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কভিড-১৯ এর অদৃশ্য জীবাণুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। এই দেশের উদীয়মান অর্থনীতির জন্য এই পেন্ডেমিক একটি বিরাট চ্যালেঞ্জ, এটা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। এই যুদ্ধে জয়ী হতে হলে আমাদের অতীব জরুরি সুনির্দিষ্ট চারটি কর্ম-পরিকল্পনা ঠিক রাখতে হবে এবং এই কর্মগুলো সম্পাদনের জন্য সঠিক যোদ্ধাদের কাজে লাগাতে হবে। ১। সঠিকভাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা করে সংক্রান্ত রোগী শনাক্তকরণ-আইইডিসিআরের নেতৃত্বে ডাক্তাররা ও প্রশিক্ষিত টিম কাজ করছে। যেহেতু আরটি-পিসিআর (RT-PCR) দিয়ে ভাইরাস শনাক্ত করা হয়, তাই বিভিন্ন শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের এ বিষয়ে অভিজ্ঞ বিজ্ঞানী ও গবেষকগণ নমুনা শনাক্তকরণে কাজ করতে তাদের আন্তরিকতা ও সদিচ্ছা প্রকাশ করেছেন। এ কাজে এই অভিজ্ঞদের কাজে লাগালে ডাক্তারদের ওপর চাপ অনেক কমে যাবে বলে মনে করছি। ২। কভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা ও সেবাদান-আইইডিসিআরের নেতৃত্বে প্রশিক্ষিত ডাক্তার ও সেবাকর্মীরা এ দায়িত্ব পালন করছেন। দায়িত্বরত ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীদের (যেহেতু তারা আইসোলেটেড) স্বাস্থ্য নিরাপত্তা (পিপিই, মাস্ক সরবরাহ) জোরদার করা ও আহারসহ যথাযথ রিফ্রেসমেন্টের ব্যবস্থা করা অত্যন্ত জরুরি। এ যুদ্ধে সম্মুখে থাকা এই বীরদের প্রতি আমাদের সবাইকে ভালোবাসা ও মানবতা প্রদর্শন করা উচিত।

৩। সংক্রমণ রোধে এলাকায় কারফিউ/লকডাউন করে জনগণের চলাচল বন্ধ করা। যে কারণেই হোক না কেন, বাংলাদেশে জনগণের সঙ্গে প্রশাসনের দূরত্ব অনেক। এটা সত্যি যে, বাঙালি প্রশাসনিক ভাষার চাইতে রাজনীতির ভাষা খুব ভালো বোঝে। স্থানীয় সরকারি প্রশাসনের সঙ্গে রাজনৈতিক প্রশাসনের সমন্বয় এখন অত্যন্ত জরুরি। এই মুহূর্তে বেশি মাত্রায় আক্রান্ত ও ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে কারফিউ ঘোষণা করে জনগণকে নিজ ঘরে নিরাপদে রাখাই জনগণের মৌলিক অধিকার সংরক্ষণের মধ্যে পড়ে। জনসাধারণের মধ্যে বিদ্বেষ, ভয় ও বিভ্রান্তি কিংবা অশান্তি ছড়ানোকে শক্তভাবে প্রতিহত করতে হবে। জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য ধর্মীয় আলোচনার পাশাপাশি যে সব রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন, তাদের সাক্ষাৎকার মিডিয়ায় প্রচার করা উচিত।

৪। ত্রাণ পাওয়ার উপযুক্ত পরিবার ও এর সদস্যদের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ত্রাণ সরবরাহ করা-এবারের ত্রাণ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের মতো নয়। এ সময় উপোস থাকা প্রতিটি পরিবারকে ১০/১৫ দিন চলতে পারে এমন হিসাবে একসঙ্গে বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী দিতে হবে যাতে তাদের বাইরে বের না হতে হয় এবং করোনা প্রতিরোধে লকডাউন সফল হয়। সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো সঠিক তালিকা প্রণয়ন এবং পৌঁছানো। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স ঘোষণার পরও সুযোগ পেলেই এক শ্রেণির অসুস্থ মানসিকতার ব্যক্তিরা অস্বস্তিকর ও অপ্রীতিকর পরিবেশ তৈরি করছে, যা এই বিপর্যয়ের সময় একদমই কাম্য নয়। এখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় সর্বস্তরের ছাত্রছাত্রী নিজ বাড়িতে অবস্থান করছে। আমরা দেখছি, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কীভাবে স্বেচ্ছায় ত্রাণ কার্যে এগিয়ে এসেছে। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর ডাকে ছাত্রসমাজ এগিয়ে এসে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। এই যুদ্ধেও সরকার তাদের কাজে লাগাতে পারে। উপজেলা কমিটির সভাপতি (ইউএনও) ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের সহায়তায় টেলি-কমিউনিকেশন প্রযুক্তি ব্যবহার করে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে স্ব স্ব ইউনিয়নে একটি ভলান্টিয়ার গ্রুপ করে দিতে পারেন এবং উপজেলায় বসেই ভিডিও-কনফারেন্সের মাধ্যমে সঠিক দিক-নির্দেশনা দিয়ে তাদের তৈরি করে নিতে পারেন। এই ভলান্টিয়াররা তাদের স্ব স্ব ইউনিয়নে ত্রাণের জন্য উপযুক্ত পরিবার ও তাদের পরিবারের সদস্যসহ একটি তালিকা প্রণয়ন করবে এবং তাদের সঠিকভাবে ত্রাণ পৌঁছে দেবে। এ প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধ দেখেনি। এই যুদ্ধে তারা সেই আক্ষেপ পূরণে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে সততা ও স্বচ্ছতার সঙ্গে অভাবগ্রস্ত পরিবারের তালিকা প্রণয়ন করে সঠিকভাবে ত্রাণ সরবরাহ করবে বলেই আমাদের বিশ্বাস। প্রয়োজন ও চাহিদার মধ্যে বিভাজন টানার গুরুত্ব উপলব্ধি আগে কখনো হয়নি বাঙালির।  এ উপলব্ধি নিয়ে যত মসৃণভাবে ত্রাণ কাজটি সম্পন্ন হবে, তত বেশি করোনা প্রতিরোধে গৃহীত কর্ম-পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সহজ ও সফল হবে। আর সময় ক্ষেপণ নয়। এই যুদ্ধে টিকে থাকার জন্য আমাদের বিদ্যমান সামর্থ্য নিয়ে একে মোকাবিলার একটি শক্ত প্রণয়, বলয় ও আস্থা অর্জন করতে হবে।

 

লেখকবৃন্দ : ড. নাছরীন সুলতানা জুয়েনা,

শিক্ষক, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।

ড. মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান মোল্লা, মহাসচিব, বাংলাদেশ ভেটেরিনারি অ্যাসোসিয়েশন।

সর্বশেষ খবর