সোমবার, ২৪ মে, ২০২১ ০০:০০ টা
জেনে রাখা ভালো

মলত্যাগের সমস্যা ও রেক্টাল ক্যানসার

ডা. এস এম এ এরফান

শত ব্যস্ততার মাঝেও স্বাস্থ্যের ব্যাপারে সচেতন থাকি অনেকেই। কিন্তু তারপরও হঠাৎ দেখা দিতে পারে পায়খানার সামান্য সমস্যা। পায়খানা এখন আর আগের মতো হচ্ছে না। আগে প্রতিদিন সকালে নিয়মিত কোষ্ঠ পরিষ্কার হতো। এখন তা কখনো সকালে, কখনো বিকালে, কখনো-বা একাধিকবার হচ্ছে। তবে এমন সমস্যায় অনেকেই তেমন পাত্তা দিই না। কিন্তু ছোট এই বিষয়টিই হতে পারে সমস্যার কারণ। হতে পারে রেক্টাল ও কোলন ক্যানসার।

লক্ষণ কী : কোলন ও

রেক্টাল ক্যানসারকে একসঙ্গে কোলোরেক্টাল ক্যানসার বলে। বেশির ভাগ কোলোরেক্টাল ক্যানসার শুরু হয় ছোট্ট পলিপ থেকে। পলিপ হলো একগুচ্ছ কোলোরেক্টাল নালির আবরণী কোষের সমাহার, যা ক্যানসার নয়। দিনে দিনে এ পলিপ বড় হতে থাকে। একসময় এটি ক্যানসারে রূপ নেয়। পলিপ থেকে ক্যানসারে রূপান্তর ঘটতে সময় লাগে গড়ে ১০ বছর। খুব ধীরে ধীরে এ পরিবর্তন ঘটে। তবে সব ধরনের পলিপ থেকে ক্যানসার হয় না। এ ক্যানসার হওয়ার অনেক দিন পর্যন্ত কোনো লক্ষণ দেখা নাও দিতে পারে। তারপরও রোগের প্রথম দিকে রোগী খেয়াল করলে যেসব বিষয় বুঝতে পারবেন, সেগুলো হচ্ছে- পায়খানার অভ্যাস পরিবর্তিত হওয়া অর্থাৎ আগে যদি দিনে একবার কোষ্ঠ পরিষ্কার হতো, এখন তা কয়েকবার হওয়া মলের প্রকৃতি পরিবর্তিত হওয়া অর্থাৎ আগে স্বাভাবিক মল হলে এখন তা আগের থেকে কঠিন অথবা নরম হওয়া, কালো পায়খানা হওয়া, সকালবেলা পাতলা পায়খানা হওয়া, মিউকাস যাওয়া, একবার টয়লেটে যাওয়ার পর মনে হয় পায়খানা রয়ে গেছে আবার হবে, রক্ত যাওয়া, ওজন কমে যাওয়া, পেট ব্যথা ইত্যাদি।

চিকিৎসা : প্রাথমিক পর্যায়ে রেক্টাল ক্যানসার নির্ণয় করা গেলে তার চিকিৎসা আছে। চিকিৎসার ফলে অনেক রোগী সুস্থ আছেন ১০ থেকে ১২ বছর। কিন্তু রোগ অগ্রসর হয়ে গেলে এর চিকিৎসা পৃথিবীর কোথাও নেই। তাই এ জাতীয় লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হোন।

লেখক : অধ্যাপক ও কোলোরেক্টাল সার্জন, রেনেসাঁ হসপিটাল, ধানমন্ডি।

সর্বশেষ খবর