বৃহস্পতিবার, ১৮ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০ টা

টিপস

ইউরিক অ্যাসিড হলো রক্তের মধ্যে পাওয়া যাওয়া একটি রাসায়নিক। এই রাসায়নিক আমাদের সবার শরীরেই রয়েছে। কিন্তু সমস্যা তখন তৈরি হয় যখন এর পরিমাণ স্বাভাবিকের তুলনায় বহুগুণ বেড়ে যায়। আসলে ইউরিক অ্যাসিড হলো প্রাকৃতিক বর্জ্য। প্রোটিন জাতীয় খাদ্য থেকে শরীরে পিউরিন পৌঁছায়। ইউরিক অ্যাসিড আমাদের শরীর থেকে পিউরিন সমৃদ্ধ খাবার হজমের পর নির্গত হয়।

পিউরিন হলো রাসায়নিক যৌগ যা কার্বন ও নাইট্রোজেন দ্বারা গঠিত। পিউরিন সমৃদ্ধ খাবার বেশি খেলে তখন হজমে সমস্যা হয়। কারণ আমাদের শরীর তা ঠিকমতো হজম করতে পারে না। ফলে তখন শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে যায়। কিন্তু অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড শরীর থেকে বের হয়ে যায় কিডনির মাধ্যমে। কিন্তু অনেকের ক্ষেত্রে এই প্রক্রিয়াটি সঠিকভাবে কাজ করে না। তখনই রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে যায় এবং সেখান থেকে গাউটের মতো একাধিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। ইউরিক অ্যাসিড আমাদের প্রত্যেকের শরীরেই রয়েছে। এটা নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। কিন্তু সমস্যা তখনই বাড়ে যখন এটি শরীর থেকে নির্গত হতে পারে না এবং শরীরে কোনো অংশে জমতে থাকে। সাধারণত শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের একটি স্বাভাবিক স্তর রয়েছে। রক্তে ৬.৫ মিলি/ডিএল-এর মধ্যে ইউরিক অ্যাসিডের স্তর থাকলে ভয়ের কিছু নেই। কিন্তু এই মাত্রা যখন ৭ মিলি/ডিএল ছাড়িয়ে যায় তখনই দেখা দেয় নানা সমস্যা। বর্তমানে এই ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে যাওয়ার ঘটনা প্রায়ই দেখা যায়। ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ স্বাভাবিকের তুলনায় বেড়ে গেলে কিংবা তা শরীর থেকে নির্গত না হতে পারলে, তা প্রভাব ফেলে শরীরে। এর ফলে মূলত দুই ধরনের রোগ দেখা দেয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায়- এই ইউরিক অ্যাসিড হাড়ে বা গাঁটে জমতে শুরু করেছে। মূলত এটা পায়ের গাঁটে জমতে শুরু করে। এর ফলে জয়েন্টে ব্যথা শুরু হয়। এমনকি, হাঁটাচলা করতেও বেশ সমস্যা হয়।

সূত্র : হেলথ জানার্ল

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর