লক্ষণ : হঠাৎ করে শরীরের একাংশ অবশ বা দুর্বল হয়ে যাওয়া। মাথাব্যথা ও বমি হওয়া। হঠাৎ অজ্ঞান হওয়া। কথা জড়িয়ে যাওয়া বা একেবারেই কথা বলতে না পারা।

তাৎক্ষণিক করণীয় : কোনো রোগীর ওপরের লক্ষণসমূহ দেখা দিলে বুঝতে হবে তার স্ট্রোক হয়েছে। এ ক্ষেত্রে আতঙ্কিত না হয়ে জরুরি ভিত্তিতে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। প্রয়োজনে নিকটস্থ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া উচিত। সম্ভব হলে মস্তিষ্কের CT Scan করে স্ট্রোকের ধরন বুঝতে হবে। মনে রাখতে হবে স্ট্রোক দুই ধরনের হয়। মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল ব্যাহত হওয়ার জন্য অথবা মস্তিস্কে রক্তক্ষরণের জন এবং যার চিকিৎসা পদ্ধতিও ভিন্নতর।

মুখ বেঁকে গেলে : বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ মোতাবেক চিকিৎসা এবং ফিজিওথেরাপি নিতে হবে।

প্রতিরোধ : স্ট্রোক অনেকাংশেই প্রতিরোধযোগ্য। স্ট্রোকের প্রতিরোধের জন্য প্রয়োজন সচেতনতা। যেমন- রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ, ধূমপান পরিহার, রক্তের চর্বি নিয়ন্ত্রণ, শারীরিক ব্যায়াম নিয়মিত ও ওজন ঠিক রাখা, পর্যাপ্ত শাকসবজি, সতেজ ফলমূল খাওয়া। তাই এ বিষয়ে অবহেলা না করে আমাদের আরও সচেতন ও যত্নবান হতে হবে।

ডা. এমএস জহিরুল হক চৌধুরী, অধ্যাপক, ক্লিনিক্যাল নিউরোলজি বিভাগ, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্সেস অ্যান্ড হাসপাতাল।