আলঝেইমারস হলো মানুষের মস্তিষ্কের ক্ষয়জনিত নিঃশব্দ ঘাতক রোগ। সচরাচর আলঝেইমারস ডিজিজ থেকেই ডিমেনশিয়া সবচেয়ে বেশি হয়। ১৯০৬ সালে জার্মান নিউরোলজিস্ট (ব্রেইন বিশেষজ্ঞ) অ্যালিয়স আলঝেইমারস্ সর্ব প্রথম আলঝেইমারস আবিষ্কার করেন। এটি একটি শারীরিক রোগ। আলঝেইমারস একটি অগ্রগতিশীল রোগ। অর্থাৎ সময় চলার সঙ্গে সঙ্গে ধীরে ধীরে ব্রেইনের আরও অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকে।
সাধারণত ৬৫ থেকে ৮৫ বছর বয়সের মানুষ ডিমেনশিয়ায় ভোগেন। তবে কম বয়সের লোকদেরও তা হতে পারে। পুরুষ বা মহিলা যে কারও ডিমেনশিয়া হতে পারে। বিজ্ঞানীরা ডিমেনশিয়ার সঙ্গে বংশগত সম্পর্ক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখছেন। দেখা যাচ্ছে, কিছু বিরল ক্ষেত্রে ডিমেনশিয়ার জন্য দায়ী রোগগুলো বংশগত হতে পারে। বংশগত গাঠনিক প্রক্রিয়ার কারণে হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
যে রোগগুলো থেকে ডিমেনশিয়া জন্মলাভ করে সেগুলো কেন হয় তা বর্তমানে আমরা নিশ্চিত করে জানি না। সুতরাং ডিমেনশিয়া প্রতিরোধ ব্যবস্থা বের করা বা আবিষ্কার করা কঠিন। তবে গবেষণায় দেখা গেছে যে, স্বাস্থ্যকর খাবার ও স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন পদ্ধতি ডিমেনশিয়া থেকে হয়তো রক্ষা করে। বিশেষ করে ধূমপান না করলে, ব্যায়াম করলে, চর্বিযুক্ত খাবার না খেলে এবং মানসিকভাবে সক্রিয় থাকলে ভাসকুলার ডিমেনশিয়া এবং আলঝেইমা-রস ডিজিজের আশঙ্কা কম থাকে।