সোমবার, ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা
ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ

জীবনমুখী শিক্ষায় অনন্য

দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে সাফল্যের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের অবস্থান সুদৃঢ় করেছেন...

জীবনমুখী শিক্ষায় অনন্য

২০০৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে স্বল্পসংখ্যক শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়ে যাত্রা শুরু করে ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ (ডব্লিউইউবি)। আজ তা এক জীবনমুখী মানসম্পন্ন শিক্ষার এক অনন্য পাদপীঠ। উত্তরার ১৭ নম্বর সেক্টরের লেক পাড়ের এক মনোরম পরিবেশে এখন তার সুপরিসর ক্যাম্পাসে ১২টি বিভাগে ৩৫০ জন শিক্ষক-কর্মচারীর নিবিড় পরিচর্যায় প্রায় ৬ হাজার শিক্ষার্থী এখানে পড়াশোনা করছেন। স্বল্প ব্যয়েও যে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করা সম্ভব তা এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রমাণ করেছে। ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এ তিনটি অনুষদের মাধ্যমে ১২টি বিষয় পড়ানো হয়। বর্তমানে তার আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামগুলো হচ্ছে- বিএসসি ইন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, বিএসসি ইন ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং, বিএসসি ইন কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, বিএসসি ইন কম্পিউটিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সাইন্স, বিএসসি ইন মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং, বিএসসি ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং, ব্যাচেলর অব আর্কিটেকচার, ব্যাচেলর অব ফার্মেসি, ব্যাচেলর অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (বিবিএ), ব্যাচেলর অব ট্যুরিজম হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট, ব্যাচেলর অব ল’, ব্যাচেলর অব আর্টস ইন ইংলিশ। গ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামগুলো হচ্ছে- মাস্টার অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এমবিএ), এক্সিকিউটিভ এমবিএ, মাস্টার অব বিজনেস এডুকেশন, মাস্টার্স অব আর্টস ইন ইংলিশ, মাস্টার অব ল’। এখানে প্রতিটি বিভাগের কোর্স কারিকুলাম আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন, জ্ঞান সৃষ্টি ও বিতরণে রয়েছে উচ্চ শিক্ষিত ও নিবেদিত শিক্ষকবৃন্দ। ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ স্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করেছে ২০১৮ সালে। পুরো ক্যাম্পাসটি ওয়াইফাই ইন্টারনেট সংযোগের আওতাধীন ও কেন্দ্রীয়ভাবে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পরিপূর্ণ মানসিক ও শারীরিক বিকাশের জন্য এবং শিক্ষার পাশাপাশি বাস্তবিক জ্ঞান অর্জনের সহায়ক হিসেবে এখানে বেশ কিছু ক্লাবের সার্বক্ষণিক কার্যক্রম চালু আছে। আছে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনা ও গবেষণার সুবিধার জন্য একটি অত্যাধুনিক সুবিশাল লাইব্রেরি। করা হয়েছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে মুজিব কর্নার। বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে নিজস্ব পরিবহনব্যবস্থা, যা সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে শিক্ষার্থীদের উত্তরার স্থায়ী ক্যাম্পাসে যাতায়াত নির্বিঘ্ন করছে। ঢাকার আশপাশের জেলাগুলো থেকেও খুব সহজে যাতায়াত করতে পারবেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের জন্য স্বল্প খরচে আবাসনের দায়িত্বও বিশ্ববিদ্যালয় নিয়েছে। করোনাকাল শুরু হওয়ার কিছুদিন পর থেকেই অনলাইন পদ্ধতিতে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ।  ক্লাস ছাড়াও টিউশন ফি জমাসহ সব ধরনের শিক্ষাসেবাও নিশ্চিত করছে অনলাইনের মাধ্যমে।  বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নান চৌধুরীর মতে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের লক্ষ্য হলো এমন নেতা তৈরি করা, যারা তাদের মস্তিষ্ককে ক্ষুদ্রতম গবেষণাগার হিসেবে গড়ে তুলে নিজস্ব অর্থনৈতিক মুক্তি এবং সামাজিক দারিদ্র্য মোচনে বিশাল অবদান রাখতে সক্ষম হবেন।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর