বৃহস্পতিবার, ১২ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

ডেনিম এক্সপোতে আশার আলো

করোনার ধাক্কা পোশাক খাতের সাপ্লাই চেইনকে নষ্ট করে দিয়েছিল...

নিজস্ব প্রতিবেদক

ডেনিম এক্সপোতে আশার আলো

করোনা মহামারির কারণে দুই বছর বন্ধ থাকার পর দেশি-বিদেশি ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিয়ে আবারও দেশে হয়ে গেল ‘বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপো’। ১০ ও ১১ মে রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি, বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) আয়োজিত ডেনিম এক্সপোর এই ১২তম প্রদর্শনী বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ডেমিন (জিন্স) খাতের ব্যবসায়ীদের মিলনমেলায় পরিণত হয়। গতকাল প্রদর্শনীর শেষ দিনে বৃষ্টি উপেক্ষা করে প্রদর্শনীতে হাজির হন ডেমিন খাতের দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা। দেশ-বিদেশের নীতিনির্ধারক, শিল্প খাতের নেতৃবৃন্দ, পোশাক ব্র্যান্ডগুলোর প্রতিনিধিগণ এবং ফ্যাশন শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা একত্রিত হন এক ছাদের নিচে। প্রদর্শনীতে ৮০টি স্টলে ১২টি দেশের ডেনিম কাপড়, পোশাক, সুতা, মেশিন, অনুষঙ্গ, সরঞ্জাম ও জিনস তৈরির প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। এবারের আয়োজনে গুরুত্ব পায় করোনা-পরবর্তী বিশ্বে ডেনিম ব্যবসার চ্যালেঞ্জ। বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জ (বিএই) এ প্রদর্শনীর আয়োজন করে। এক্সপোতে অংশগ্রহণকারীরা বলেন, করোনার কারণে নড়বড়ে বিশ্ব অর্থনীতি। যার বড় ধরনের ধাক্কা লেগেছিল পোশাক খাতেও। এ সময়ে তৈরি পোশাক উৎপাদনকারী দেশগুলোর রপ্তানি আদেশই কমে যায়নি, বন্ধ ছিল পোশাক খাতের বিভিন্ন প্রদর্শনী। সেই অভিঘাত কাটিয়ে উঠতে এই আয়োজন বিশেষ ভূমিকা রাখবে। প্রদর্শনীর পাশাপাশি ছিল অ্যাপারেল ফোরাম সম্মেলন। এতে ডেনিম খাতের অর্ধশতাধিক বক্তা ও সবুজ প্রবৃদ্ধি নিয়ে কাজ করা ২০টি দেশের বিভিন্ন কোম্পানি অংশগ্রহণ করে। বক্তারা পোশাক শিল্পের বর্তমান টেকসই উন্নয়ন সংক্রান্ত ইস্যুগুলো বিশেষ করে জলবায়ু পরিকল্পনা, পরিবেশগত সামাজিক ও সুশাসন এবং সবুজ অর্থায়ন, অনুশীলন, আইন প্রণয়ন এবং চমৎকার অর্থনীতি নিয়ে আলোচনা করেন। বিজিএমইএর পরিচালক এবং বিএই (বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জ)-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মহিউদ্দিন রুবেল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেও প্রদর্শনীতে দর্শনার্থীর উপস্থিতিতে আমরা সন্তুষ্ট। এখানে দর্শনার্থী বলতে ডেনিম সেক্টরের প্রতিনিধিরা। এখানে এক ছাদের নিচে একটি প্রতিষ্ঠান প্রয়োজনীয় অন্য প্রতিষ্ঠানকে খুঁজে নেওয়ার সুযোগ পেয়েছে। আশা করছি এই প্রদর্শনী ও সম্মেলন আমাদের ডেনিম পোশাক খাতকে আরও এগিয়ে নিতে ভূমিকা রাখবে। সংশ্লিষ্টরা জানান, করোনার ধাক্কা পোশাক খাতের সাপ্লাই চেইনকে নষ্ট করে দিয়েছিল। করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকায় বাংলাদেশ সেই ধাক্কা কাটিয়ে উঠেছে দ্রুত। ইউরোপ-আমেরিকায় ডেনিম পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশ এখন শীর্ষে। তৈরি পোশাক খাতের পুরো অর্থবছরের লক্ষ্য পূরণ হয়েছে ১০ মাসেই। গত অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে রপ্তানি আয় ছিল ২৬ হাজার মিলিয়ন ডলার, চলতি অর্থবছরের একই সময়ে তা দাঁড়িয়েছে ৩৫ হাজার ৩৬২ মিলিয়ন ডলারে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর