বৃহস্পতিবার, ২ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

মিটারগেজ রেলপথে পাল্টে যাবে অর্থনীতি

কাজী শাহেদ, রাজশাহী

মিটারগেজ রেলপথে পাল্টে যাবে অর্থনীতি

উত্তরাঞ্চল থেকে পণ্য পরিবহনে সড়কপথের চেয়ে রেলপথে আগ্রহী হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু মিশ্রগেজ রেলপথ না থাকায় মিটারগেজে চলা ট্রেন রাজশাহীতে আসতে পারে না। ফলে সারা দেশের সঙ্গে পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে রাজশাহীর ব্যবসায়ীরা বঞ্চিত। ব্যবসা সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মিটারগেজ রেলপথের সুবিধা থাকলে চট্টগ্রাম থেকে সরাসরি রাজশাহীতে কনটেইনারে পণ্য আনা-নেওয়া করা সম্ভব হতো। রাজশাহী রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, নাটোরের আবদুলপুর থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর পর্যন্ত ১৫টি স্টেশন মিলে ১০৪ কিলোমিটার পথ। আবদুলপুর থেকে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত সাতটি স্টেশন মিলে ৪২ কিলোমিটার পথ। এই পথের স্টেশনগুলোর মধ্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, হরিয়ান, সরদহ, নন্দনগাছী, আড়ানী ও আবদুলপুর। এ ছাড়া রাজশাহী স্টেশন থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পর্যন্ত ৫২ কিলোমিটার। আর রাজশাহী থেকে রহনপুর পর্যন্ত ৬২ কিলোমিটার। রাজশাহী ও রহনপুরের পথে আটটি স্টেশন। এগুলো হলো- কোর্ট স্টেশন, শীতলাই, কাঁকনহাট, ললিতনগর, আমনুরা, আমনুরা বাইপাস, নিজামপুর ও নাচোল স্টেশন। এই পথটুকুতে মিশ্র রেললাইন স্থাপন করা গেলে এ দুই জেলায় বিভিন্ন পণ্য আমদানি-রপ্তানি আরও সহজ হবে। এতে একদিকে যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হবে, অন্যদিকে সময় ও পরিবহন খরচ দুই-ই কমবে। রাজশাহীর ব্যবসায়ীরা জানান, রাজশাহীতে শুধু মিটারগেজ রেললাইন না থাকায় পরিবহন খরচ বেশি হয়। মিটারগেজ লাইন চালু হলে বিভাগীয় এই শহরের ওপর দিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর রুটেও পণ্য পরিবহন সহজ হবে। রাজশাহী চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মাসুদুর রহমান রিংকু বলেন, করোনাভাইরাসের সময়ে ট্রেনে আম, সবজি দেশের বিভিন্ন স্থানে পরিবহন করা হয়েছে। এ ছাড়া কুরিয়ার সার্ভিস বা অন্য মাধ্যমে বিভাগীয় শহরগুলোতেও আম পরিবহন করা হয়েছে। সেই সময় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ও ব্যবসায়ীরা জানিয়েছিলেন, ট্রেনে পণ্য পরিবহনে খরচ তুলনামূলক কম। আর ট্রেনের বগিতে পর্যাপ্ত জায়গা থাকায় আম ও সবজি নষ্টের আশঙ্কা কম থাকে। এতে এই অঞ্চলের কৃষক ও ব্যবসায়ীদের পণ্য পরিবহনে ট্রাক ও কুরিয়ারের আশায় থাকতে হবে না। ফলে এ অঞ্চলের অর্থনীতি আরও সচল হবে।

রাজশাহী সিটি মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, চট্টগ্রাম থেকে পণ্য রেলপথে ঢাকায় আনতে হয়। এর পরে ঢাকা থেকে ট্রাকযোগে রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জে আনতে হয়। এতে সময় ও খরচ বেড়ে যায়। মিটারগেজ লাইন স্থাপন করা গেলে চট্টগ্রাম থেকে সরাসরি রাজশাহীতে পণ্য আনা সম্ভব হবে। তাহলে বাড়তি পরিবহন ভাড়া গুনতে হবে না। যদিও রেলপথের ভাড়া দিতে হবে ব্যবসায়ীদের। তবে সড়কপথের তুলনায় কম।

সর্বশেষ খবর