বৃহস্পতিবার, ২ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

শরীয়তপুরে বড় হচ্ছে মাছের বাজার

রোকনুজ্জামান পারভেজ, শরীয়তপুর

শরীয়তপুরে বড় হচ্ছে মাছের বাজার

রাজধানী ঢাকা থেকে স্থানভেদে শরীয়তপুরের দূরত্ব ৬৫ থেকে ১০০ কিলোমিটার। পদ্মা নদীর কারণে যাতায়াত ছিল কষ্টের ও দুর্ভোগের। এ কারণে শরীয়তপুরের মাছের খামারিরা তাদের চাষ করা মাছ ঢাকার বাজারে বিক্রি করতে পারতেন না। সড়ক ও নৌপথ ব্যবহার করে বিকল্প বাজার হিসেবে নোয়াখালী অঞ্চলের বিভিন্ন জেলার বাজারগুলোতে বিক্রি করেন। ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর সেই কষ্ট ও দুর্ভোগ শেষ হবে। এখন শরীয়তপুরের খামারিরা তাদের মাছ ঢাকার বাজারে বিক্রির আশা করছেন। এতে তাদের পরিবহন খরচ সাশ্রয় হবে ও দাম বেশি পাবেন। বছরে অন্তত সাড়ে ৫০০ কোটি টাকার মাছ ঢাকার বাজারে বিক্রি করার আশা ব্যবসায়ী ও মৎস্য বিভাগের।

জেলা মৎস্য বিভাগ সূত্র ও মাছের খামারিরা জানান, শরীয়তপুরে মাছ চাষের জন্য ২ হাজার ৬২৬ হেক্টর জমিতে  ১৫ হাজার ১৮২টি ছোট-বড় পুকুর রয়েছে। ২৪ হাজার ৯২০ হেক্টর জমির ২২৫টি প্লাবনভূমিতে মাছ চাষ করা হয়। ১ হাজার ২৭ হেক্টর জমিতে ৩৩৪টি ধান খেতে ও ৪ হেক্টর জমিতে ৩০টি গলদা চিংড়ি চাষের হ্যাচারি রয়েছে। এ ছাড়া পদ্মা, মেঘনা ও কীর্তিনাশা নদীর ১৫ হাজার ৮৪০ হেক্টর এলাকা থেকে মাছ শিকার করা হয়। বর্তমানে জেলার ১১ লাখ মানুষের জন্য বছরে ২৫ হাজার ৩১৬ মেট্রিক টন মাছের চাহিদা রয়েছে।

জেলায় বছরে চাষের মাছ উৎপাদন হয় ২৮ হাজর ৫৪৩ মেট্রিক টন। ইলিশের উৎপাদন হয় সাড়ে ৫ হাজার মেট্রিক টন। নদীতে অন্যান্য মাছের উৎপাদন হয় ২ হাজার ৯৫৩ মেট্রিক টন। জেলায় অন্তত ৪৭ হাজার মানুষ মাছ উৎপাদনের সঙ্গে সম্পৃক্ত। ফেরি পারাপার হয়ে ঢাকায় যেতে অনেক সময় লাগে ও দুর্ভোগে পড়তে হয়। এ কারণে মাছের খামারিরা তাদের উৎপাদিত মাছ ঢাকায় বিক্রি করতে পারছেন না। এমন পরিস্থিতিতে শরীয়তপুরের খামারিরা নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী ও কুমিল্লার বিভিন্ন বাজারে মাছ বিক্রি করেন।

সর্বশেষ খবর