বৃহস্পতিবার, ১৬ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

শিল্প-বর্জ্য কৃষকের গলার কাঁটা

সৈয়দ বয়তুল আলী, মৌলভীবাজার

শিল্প-বর্জ্য কৃষকের গলার কাঁটা

মৌলভীবাজারের ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প করপোরেশনের (বিসিক) বিভিন্ন শিল্প কারখানার দূষিত পানি, পলিথিন, প্লাস্টিকসহ বর্জ্য পার্শ্ববর্তী খাইঞ্জার হাওরে পড়ছে প্রতিনিয়ত। এতে দূষিত হচ্ছে হাওরের দুই ফসলি কৃষি জমি। আবাদের অনুপযোগী হচ্ছে প্রায় ৫০ বিঘা কৃষি জমি। কৃষকরা চাষাবাদের জন্য জমিতে নামতে গিয়ে দূষিত বর্জ্যরে কারণে চর্মসহ নানান রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় কৃষকদের মধ্যে ক্ষোভ আর হতাশা রয়েছে। বিসিক শিল্প নগরীর বিভিন্ন কারখানার মধ্যে দু-একটি কারখানায় ইটিপি স্থাপন হলেও অধিকাংশ কারখানা কর্তৃপক্ষ বর্জ্য অপসারণের জন্য নিজস্ব কোনো প্লান্টেশন না থাকায় এসব বর্জ্য ছোট খাল ও ড্রেন দিয়ে প্রবেশ করছে হাওরের কৃষি জমিতে। ফলে দুর্গন্ধ ছড়ানোর পাশাপাশি দূষিত হচ্ছে হাওরের পরিবেশ। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে বর্জ্য আর হাওরের পানি একাকার হয়ে দূষিত হচ্ছে হাওরের পরিবেশ, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন কৃষক। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জেনেও কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় দিন দিন হতাশা বাড়ছে স্থানীয় কৃষকদের মধ্যে। সরেজমিন মৌলভীবাজার সদর উপজেলার গোমরা এলাকায় বিসিক শিল্প নগরীতে গিয়ে দেখা যায়, বিসিকে খাদ্য সামগ্রী,  কেমিক্যালসহ প্রায় ৩৮টি বিভিন্ন প্রকারের শিল্পকারখানা চালু রয়েছে। এসব শিল্প কারখানার বর্জ্য অপসারণের জন্য নিজস্ব কোনো ব্যবস্থাপনা না থাকায় বিসিক শিল্প নগরীর সীমানা পেরিয়ে দূষিত পানি, পলিথিন ও প্লাস্টিকের বর্জ্য ছড়িয়ে পড়ছে পাশের খাইঞ্জার হাওরে। শুধু প্লাস্টিক আর পলিথিন নয়, রাবার ও কেমিক্যাল কারখানার বিষাক্ত বর্জ্যও গিয়ে পড়ছে হাওরের কৃষি জমিতে। বর্জ্যগুলোর কারণে হাওরের প্রায় ৫০ বিঘা কৃষি জমি পতিত হয়ে পড়েছে। কৃষকরা জানান, কারখানার দূষিত পানি আমাদের কৃষি জমিতে পড়ে জমির মাটি দূষিত করছে। জমি আবাদ করতে গেলে হাত-পায়ে চর্ম, অ্যালার্জি, জ্বালাপোড়া, চুলকানিসহ নানা রোগব্যাধিতে আক্রান্ত হতে হয় আমাদের। এ বিষয়ে শিল্পনগরীর কর্মকর্তা এ কে এম ফজলুল হক বলেন, আমি সদ্য যোগদান করেছি। বিষয়টিতে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি।

সর্বশেষ খবর