বৃহস্পতিবার, ২৩ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনীতির নতুন অধ্যায় শুরু

শেখ আহসানুল করিম, বাগেরহাট

দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনীতির নতুন অধ্যায় শুরু

পদ্মা সেতু চালু হলে রাজধানী ঢাকার সব থেকে কাছের আন্তর্জাতিক সমুদ্রবন্দর মোংলায় কয়েকগুণ ওপর চাপ বাড়বে। এ জন্য দেশের অর্থনীতির দ্বিতীয় লাইফ লাইন মোংলা বন্দর সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। মোংলা বন্দরের সক্ষমতা বাড়ায় এই বন্দরকে ঘিরে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে গড়ে উঠছে নতুন নতুন শিল্পকারখানা। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, সেতুটি উদ্বোধনে এই অঞ্চলের অর্থনীতিতে সূচনা হয়েছে এক নতুন অধ্যায়ের। পাল্টে যাবে এই অঞ্চলের মানুষের জীবনমান। প্রসার ঘটবে দুটি ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজ সাইড সুন্দরবন ও ষাটগুম্বুজ মসজিদকেন্দ্রিক পর্যটন শিল্পের। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, বর্তমানে মোংলা বন্দরে ছয়টি জেটি, তিনটি মুরিং বয়া, ২২টি অ্যাংকোরেজ এবং ব্যক্তিমালিকানাধীন ১১টি প্রতিষ্ঠানের জেটির মাধ্যমে একসঙ্গে ৪২টি জাহাজে পণ্য ওঠানামা করা সম্ভব হচ্ছে। চারটি ট্রানজিট  শেড, দুটি ওয়ার হাউস, চারটি কনটেইনার ইয়ার্ড, দুটি কার ইয়ার্ডের মাধ্যমে বার্ষিক ১ কোটি মেট্রিক টন কার্গো এবং ১ লাখ টিইউজ কনটেইনার এবং ২০ হাজার গাড়ি হ্যান্ডেলিংয়ের সক্ষমতা রয়েছে এই বন্দরের। পদ্মা সেতু চালু হলে রাজধানী ঢাকার সব থেকে কাছের এ আন্তর্জাতিক সমুদ্রবন্দরে কয়েকগুণ  চাপ বাড়বে। এই চাপ সামাল দিতে মোংলা বন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে ৮ হাজার ৮৫ কোটি টাকার অধিক ব্যয়ে চলমান রয়েছে আটটি উন্নয়ন প্রকল্প। এরমধ্যে রয়েছে স্ট্র্যাটেজিক মাস্টার প্ল্যান ফর মোংলা পোর্ট প্রকল্প, সারফেস ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট স্থাপন, মোংলা বন্দরের জন্য অত্যাবশ্যকীয় সরঞ্জাম সংগ্রহ, জরুরি উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বন্দরের জন্য সহায়ক জলযান সংগ্রহ, মোংলা বন্দরে আধুনিক বর্জ্য ও নিঃসৃত তেল অপসারণ ব্যবস্থা, আপগ্রেডেশন অব মোংলা পোর্ট, পশুর চ্যানলেরে ইনার বারে ড্রেজিং ও  মোংলা বন্দরের দুটি অসম্পূর্ণ জেটি নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজ চলছে। এসব প্রকল্পের কাজ শেষে হলে মোংলা বন্দর ৩ হাজার জাহাজে পণ্য ওঠানামাসহ ৮ লাখ টিইউজ কনটেইনার ৪ কোটি মেট্রিক টন কার্গো পণ্যসহ ৩০ হাজার গাড়ি হ্যান্ডেলিং করতে পারবে। এই সক্ষমতা সময়ের সঙ্গে প্রতি বছরই বাড়বে।

সর্বশেষ খবর