বৃহস্পতিবার, ২১ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা

ঋণ পুনঃতফসিল সিদ্ধান্ত পর্ষদকে দেওয়ায় বিএবির সাধুবাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঋণ পুনঃতফসিল সিদ্ধান্ত পর্ষদকে দেওয়ায় বিএবির সাধুবাদ

ঋণ পুনঃতফসিল বাণিজ্যিক ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের ওপর ছেড়ে দেওয়ায় বাংলাদেশ ব্যাংককে সাধুবাদ জানিয়েছে বেসরকারি ব্যাংক উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংক (বিএবি)। গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে এ কথা জানান বিএবির চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম মজুমদার।

ঋণ পুনঃতফসিল সিদ্ধান্ত ব্যাংকের হাতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত সম্পর্কে বিএবির চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, এটি একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। বর্তমান বাস্তবতার উপযোগী ও বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্ত। এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার ফলে সবার মঙ্গল হবে। যুগান্তকারী এ সিদ্ধান্তকে আমরা সাধুবাদ জানাই। ব্যাংকের পর্ষদের ওপর ছেড়ে দেওয়ার ফলে এখন থেকে যার যার ব্যাংক সে নিয়ন্ত্রণ করবে। এতে আমাদের পরিশ্রম অনেক কমে যাবে। ব্যাংকের কর্ম ও রিকভারিও অনেক বেড়ে যাবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের এ প্রজ্ঞাপনের ফলে ব্যাংকগুলোর জবাবদিহিতা বেড়ে যাবে। যারা আইন অমান্য করবে তাদের শাস্তির আওতায় আনা যাবে। তিনি আরও বলেন, নতুন গভর্নরের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ের জন্য ব্যাংকের চেয়ারম্যানরা এসেছেন। এ সময় কোনো দাবি-দাওয়া বা সংকট নিয়ে আলোচনা হয়নি। বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন গভর্নর দায়িত্ব নেওয়ার পর ঋণের শ্রেণিবিন্যাস বা রিশিডিউলের ক্ষেত্রে বড় পরিবর্তন আনা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন নির্দেশনা মতে, আর্থিক খাতে স্থিতিশীলতা বজায় রাখা ও শ্রেণিকৃত ঋণের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার স্বার্থে বড় ছাড় দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে খেলাপি ঋণ নিয়মিত করতে আড়াই থেকে সাড়ে ৪ শতাংশ অর্থ জমা দিলেই হবে। এর আগে খেলাপি ঋণ নিয়মিত করতে ১০ থেকে ৩০ শতাংশ জমা দিতে হতো। আগে এ ধরনের ঋণ পরিশোধে সর্বোচ্চ দুই বছর সময় পেলে এখন পাঁচ থেকে আট বছর সময় পাওয়া যাবে। একই সঙ্গে নতুন করেও ঋণ পাওয়া যাবে। আর্থিক খাতে স্থিতিশীলতা বজায় রাখা ও শ্রেণিকৃত ঋণের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার স্বার্থে ঋণ পুনঃতফসিলিকরণ সংক্রান্ত নতুন নীতিমালা জারি করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে বিষয়টি ইতিবাচক হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক বিষয়টি নিয়ে বলেন, ঋণ নিয়মিত করার ক্ষমতা এখন থেকে পুরোটাই ব্যাংকগুলোর হাতে দেওয়া হয়েছে। এই ক্ষমতা দেওয়ায় খেলাপি ঋণ কমে আসবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ সংক্রান্ত যে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে, সেখানে ঢালাওভাবে খেলাপিকে সুযোগ দেওয়া হয়নি। একটা প্রেক্ষাপটের কারণে সার্কুলার হয়েছে, আবার পুনরায় সার্কুলারও হয় অনেক সময়। তবে অপারেশনাল কাজটা ব্যাংকগুলো নিজেরাই দায়িত্ব নিয়ে করবে। এটা তাদের ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এতে জবাবদিহি বাড়বে, খেলাপি কমবে। এ স্বাধীনতা ব্যাংকগুলোর ওপর দেওয়ার ফলে এখন থেকে ব্যক্তি ও বোর্ডের ওপর দায়ভার চলে যাচ্ছে।

সর্বশেষ খবর