বৃহস্পতিবার, ৪ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০ টা

বাড়ছে কর্মসংস্থান, আমূল পরিবর্তন রপ্তানি খাতে

বাড়ছে কর্মসংস্থান, আমূল পরিবর্তন রপ্তানি খাতে

২০১০ সালে ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি (আইইউটি) থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেন গোলাম মুর্শেদ। ওই বছরের ডিসেম্বরে যোগ দেন ইলেকট্রনিক্স ও টেক জায়ান্ট ওয়ালটনে সহকারী প্রকৌশলী পদে। মাত্র ১০ বছরের মাথায় তিনি এখন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা।  তরুণদের আইকন গোলাম মুর্শেদের বিশেষ সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সাইফ ইমন ও ছবি তুলেছেন রোহেত রাজীব

 

বাংলাদেশ প্রতিদিন : এত বড় দায়িত্ব কেমন বোধ করছেন?

গোলাম মুর্শেদ : আগেও কাজ করতাম, এখনো কাজ করি। দায়িত্ববোধ হচ্ছে একটা চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ ফেস করাটা আমার আগেও ভালো লাগত, এখনো লাগে। চ্যালেঞ্জ যত আসবে নিজের পরিপক্বতাও তত বাড়বে। আমি সন্তুষ্ট। অনেক ক্ষেত্রে বড় দায়িত্ব পেলে বিরক্তি চলে আসে, আমার ক্ষেত্রে এটা ঘটেনি। আশা করছি সামনেও আসবে না। দায়িত্ব পালন করতাম আগেও, এখন দায়িত্ব বেড়েছে। কিন্তু কাজের জায়গাটা একই আছে। দায়িত্ব বাড়ার পাশাপাশি আমার চিন্তাভাবনার বিকাশও ঘটেছে। ম্যাচুরিটি এসেছে। সামনে আরও ভালোভাবে এগিয়ে যাব। ওয়ালটন আমাদের দেশীয় প্রতিষ্ঠান। দেশীয় ব্র্যান্ড। এই আদর্শকে বুকে ধারণ করে আমরা দেশকে আরও সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। পৃথিবীর মানুষের কাছে আমরা ওয়ালটন ব্র্যান্ডকে পৌঁছে দিতে চাই। আমাদের টার্গেট ২০৩০-এর মধ্যে বিশ্বের পাঁচটি কনজ্যুমার ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ডের একটি হওয়া। ইতোমধ্যে আমরা বিশ্বের প্রায় ৪০টি দেশে পণ্য রপ্তানি করছি। আরও ভালো কিছু করতে আমাদের রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট টিমকে আমরা রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন টিম নামে নামকরণ করে নিয়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ ও প্লানিং নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি প্রতিনিয়ত। অনেক সময় ধরে ওয়ালটনে আছি, তাই আমার পার্সোনাল ড্রিম বলতে ওয়ালটনের সফলতাকেই বুঝি। আরও সাফল্যের ধারাবাহিকতায় ওয়ালটনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই সামনে।

 

বাংলাদেশ প্রতিদিন : ওয়ালটনের যাত্রা শুরুর গল্প জানতে চাই?

গোলাম মুর্শেদ : একসময় এই ক্ষেত্রটাতে আমদানিনির্ভর ছিল আমাদের দেশ। সেখান থেকে আমাদের বোর্ড অব ডিরেক্টরস যারা আছেন তারা চেয়েছিলেন আমদানিনির্ভর না থেকে কেন আমরা নিজেরাই উৎপাদনে যাচ্ছি না। বাঙালিরা বীরের জাতি। আমরা পরাধীন থাকতে পছন্দ করি না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, স্বাধীনভাবে চলার ইচ্ছা এবং দেশকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করার চেষ্টা থেকেই বর্তমানের ওয়ালটন। দেশের ইলেকট্রনিক্স ও ইলেকট্রিক্যাল শিল্পের পথিকৃৎ, বিশিষ্ট শিল্পপতি ও সমাজসেবক প্রয়াত আলহাজ এস এম নজরুল ইসলাম ছিলেন ওয়ালটনের প্রতিষ্ঠাতা। তাঁর পাঁচ ছেলেকে নিয়ে ১৯৭৭ সালে প্রতিষ্ঠা করেন রেজভী অ্যান্ড ব্রাদার্স বা আরবি গ্রুপ। পরবর্তীতে যা ওয়ালটন গ্রুপ নামে পরিচিতি পায়। ওয়ালটনের অর্থ ‘উইন্ড অব অলটারনেশন’ বা পরিবর্তনের হাওয়া। দেশের ইলেকট্রনিক্স পণ্যের জগতে যুগান্তকারী পরিবর্তন এনে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছে সাশ্রয়ী মূল্যে তা পৌঁছে দিতেই ওয়ালটনের জন্ম। বাংলাদেশে একের পর এক কারখানা প্রতিষ্ঠা করে ইলেকট্রনিক্স ও ইলেকট্রিক্যাল শিল্প খাতের মহীরুহে পরিণত হয়েছে ওয়ালটন। এরপর আর এর স্বপ্নদ্রষ্টাদের পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। ওয়ালটনের পদচারণা আজ বিশ্বব্যাপী।

বাংলাদেশ প্রতিদিন : ওয়ালটন কারখানার আয়তন এবং কর্মীর সংখ্যা কত?

গোলাম মুর্শেদ : গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন কারখানা, যেটিকে আমরা হেডকোয়ার্টার বলছি, তার আয়তন ৭৫০ একরের বেশি। এখানে আছে ফ্রিজ, এসি, টিভি, কম্প্রেসর, লিফট, ওয়াশিং মেশিন, কম্পিউটার, মোবাইল ফোন, হোম ও ইলেকট্রিক্যাল অ্যাপ্লায়েন্সসহ অত্যাধুনিক প্রযুক্তিসংবলিত বিভিন্ন পণ্যের কারখানা। বর্তমানে ৪০ হাজারেরও বেশি সদস্য ওয়ালটনে কর্মরত।

 

বাংলাদেশ প্রতিদিন : ওয়ালটন কারখানায় তৈরিকৃত পণ্যের সংখ্যা কত?

গোলাম মুর্শেদ : বর্তমানে ওয়ালটন কারখানায় ৯০টি প্রোডাকশন বেইজে ১০৫টিরও বেশি ক্যাটাগরির পণ্য তৈরি হচ্ছে। আর মডেল সংখ্যা ২ হাজারেরও বেশি। বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তির পণ্য তৈরিতে আমাদের রয়েছে দেশ-বিদেশের অভিজ্ঞ ও মেধাবী প্রকৌশলীদের নিয়ে শক্তিশালী রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন (আরঅ্যান্ডআই) বিভাগ। ফলে ওয়ালটনের প্রোডাক্ট লাইনে নতুন নতুন সব পণ্য যুক্ত হচ্ছে। এটা একটা কন্টিনিউয়াস প্রসেস; যা সব সময় চলমান থাকবে।

 

বাংলাদেশ প্রতিদিন : বর্তমানে কয়টি দেশে ওয়ালটন পণ্য রপ্তানি হচ্ছে?

গোলাম মুর্শেদ : বর্তমানে বাংলাদেশের ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তি পণ্যের বেশির ভাগ চাহিদা পূরণ করছে ওয়ালটন। পাশাপাশি ওয়ালটনের তৈরি পণ্য রপ্তানি হচ্ছে ইউরোপ, আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য, এশিয়াসহ ৪০টিরও বেশি দেশে।

 

বাংলাদেশ প্রতিদিন : দেশে ওয়ালটনের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর উত্থানে বর্তমান সরকারের শিল্পনীতি কতটা সহায়ক ভূমিকা রাখছে?

গোলাম মুর্শেদ : হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার শিল্পবান্ধব একটি সরকার। নির্দ্বিধায় বলতে হবে, ওয়ালটনের মতো এ রকম দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর অগ্রযাত্রায় সরকারের শিল্পবান্ধব বিভিন্ন পলিসি দারুণভাবে কাজ করছে। সরকারের উদ্যোগে শতভাগ বিদ্যুতায়নের ফলে ওয়ালটন কারখানায় উৎপাদিত পণ্য সহজেই ব্যবহার করতে পারছে মানুষ। ফলে এসব পণ্যের চাহিদা ব্যাপক হারে যদ্ধি পেয়েছে। তাই সরকারের শিল্পবান্ধব নীতিগুলোকে আমরা স্বাগত জানাই। ধন্যবাদ জানাই এসব পলিসির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে।

 

বাংলাদেশ প্রতিদিন : দেশের বেসরকারি খাতের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা, প্রগতি এবং সুযোগগুলো নিয়ে আপনার ভাবনা?

গোলাম মুর্শেদ : বেসরকারি খাত দেশের অর্থনীতির নেতৃত্ব দিচ্ছে। দেশে শিল্পায়নে বেসরকারি খাতে এখন বিপ্লব চলছে। বেশির ভাগ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানই উৎপাদন ও সেবা খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। আবার দেখা যায়, বৃহৎ কোম্পানি বা শিল্পগোষ্ঠী মূলত উৎপাদন খাতেই বেশি সক্রিয়। বৈচিত্র্যময় পণ্য উৎপাদন করছে তারা। বেসরকারি খাত রপ্তানিতেও ব্যাপক অবদান রাখছে। ওয়ালটনের মতো অনেক কোম্পানিই পারিবারিকভাবে ব্যবসা শুরু করলেও এখন জাতীয় অর্থনীতিতে ব্যাপক অবদান রেখে চলেছে। এ জন্য বাংলাদেশের বেসরকারি খাত খুবই সম্ভাবনাময়। সরকারও অবশ্য দারুণভাবে সহযোগিতা করছে এ খাতকে। গত এক দশকের কথা বিবেচনা করলে আমরা কী দেখি? বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ বেড়েছে কয়েক গুণ, বেড়েছে কর্মসংস্থান, আমূল পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে রপ্তানি খাতে। দেশে ক্ষুদ্র, ছোট, মাঝারি, বৃহৎ, এমনকি ভারী শিল্পের বিকাশ ঘটছে এই বেসরকারি খাতের মাধ্যমেই। কৃষিনির্ভরতা থেকে বেরিয়ে শিল্পনির্ভরতার দিকে যাচ্ছি বাংলাদেশ। এখানেও নেতৃত্বের আসনে বেসরকারি খাত। বিভিন্ন স্থানে নির্মিত হচ্ছে অর্থনৈতিক অঞ্চল। এটা খুবই আশাব্যঞ্জক। এর পেছনে সরকারি বহুমুখী সহায়তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। শিল্প-কারখানার জন্য সরকারি দেখভাল ও অর্থায়ন বৃদ্ধি পেলে বেসরকারি খাতের আরও অনেক উপখাত তৈরি হবে। দেশের অর্থনৈতিক গতিশীলতা আরও দৃশ্যমান হবে।

 

বাংলাদেশ প্রতিদিন : আপনি তরুণ প্রজন্মের কাছে আইকন। তাদের জন্য আপনার পরামর্শ কী?

গোলাম মুর্শেদ : তরুণদের জন্য আমার পরামর্শ হলো- ‘কমফোর্ট জোন’-এ আবদ্ধ হয়ে থাকলে চলবে না। এখান থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। তবে যদি আপনি চান যেমন আছেন তেমনি থাকতে সেটাই ঠিক আছে। এটা আপনার চয়েস। তবে আরও উন্নতি করতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে কমফোর্ট জোন থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। কারণ এটা মানুষকে সামনে এগিয়ে যেতে দেয় না। ‘এই বেশ ভালো আছি’, এমন ভাবনা আপনাকে অলস ও অচল করে দেবে। সাধারণত মানুষের কর্মজীবন হয় ৩০ বছর। এই সময়টায় মানুষের মাঝে কাজের ইচ্ছা, আকাক্সক্ষা, শক্তি পূর্ণমাত্রায় বর্তমান থাকে। এই ৩০ বছরে আমাদের দায়িত্ব যে কাজই করছি না কেন, সেটা ঠিকভাবে সম্পন্ন করা। এ জন্য থেমে থাকলে চলবে না। জীবনে সফল হতে হলে অন্ধভাবে কাউকে অনুসরণ করতে যাবেন না। কারণ প্রতিটি মানুষ আলাদা ও অনন্য। প্রত্যেকের কোনো কোনো বিশেষ গুণ আছে। এটাই মানুষের সামনে এগিয়ে যাওয়ার শক্তি।

কাউকে দেখে, তার কথা শুনে যদি নিজেকে সমৃদ্ধ করতে পারেন, সেটা করবেন। আপনার যে গুণ আছে, আপনার যে বিষয়টার প্রতি আগ্রহ আছে, সেদিকে পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে কাজ করবেন। যেটাই করবেন না কেন, দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কাজের প্রতি ডেডিকেশন দিয়ে করবেন। সেটা চাকরি কিংবা ব্যবসা যেটাই হোক না কেন। নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস রাখবেন। তাহলেই আপনি নিজের ক্ষেত্রে সফল হবেন। আপনার স্কিল আপনাকে একটা নির্দিষ্ট জায়গা পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারবে। পৃথিবীর ৭০০ কোটি মানুষের মধ্যে নিজেকে আলাদা করতে চাইলে আপনার ইচ্ছাশক্তি প্রবল হতে হবে।

 

বাংলাদেশ প্রতিদিন : ওয়ালটন এবং ব্যক্তি গোলাম মুর্শেদ একসূত্রে গাঁথা। এটা কি কখনো কনফ্লিক্ট করে?

গোলাম মুর্শেদ : প্রথমত এটা মানতে আমার কোনো রকম দ্বিধা নেই। আজ গোলাম মুর্শেদ এই পর্যায়ে এসেছি ওয়ালটনের কারণেই। তবে ব্যক্তি গোলাম মুর্শেদের কিছু প্যাশন আছে, কিছু ভিশন আছে মানুষের চিন্তাভাবনায় পরিবর্তন আনা।

আমি প্রতিষ্ঠানের জন্য কাজ করছি মানে আমার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত ৪০ হাজার মানুষের সঙ্গে কাজ করছি। আমার সহকর্মীদের আমি মূল্যবোধের শিক্ষা দিয়ে তৈরি করতে চাই। আমি একসঙ্গে ১৭ কোটি মানুষকে নিয়ে কাজ করতে পারব না। আমার সহকর্মী রয়েছে ৪০ হাজার মানুষের পরিবার। তাদের চিন্তাভাবনা পরিবর্তনে কাজ করে যাচ্ছি আমি। তাদের মূল্যবোধ তৈরিতে কাজ করে যাচ্ছি। যেন প্রত্যেকে নিজেকে দেশের জন্য নিবেদিতপ্রাণ হিসেবে ভাবতে পারে। দেশের জন্য কিছু চিন্তা করতে পারে। এটা ব্যক্তি গোলাম মুর্শেদের কাজ।

এটা চলমান রয়েছে ওয়ালটনের মধ্যেই। আমার সহকর্মীরাও বাইরে চলাফেরা করছে। একটা বিশাল জনগোষ্ঠীর সঙ্গে তারা যুক্ত। আমি যদি শুরু না করি কাউকে না কাউকে শুরুটা করতে হবে। তবেই ২০ বছর পরে পরিবর্তন আসতে বাধ্য। হয়তো আমার দেখাদেখি আরও কেউ করবে। আমি চাই শুরুটা এখনই হোক। মানুষের মধ্যে মূল্যবোধের পরিবর্তন আসুক। দেশের উন্নয়ন করতে গেলে কথায় কথায় সরকারের দোষ না দিয়ে আমাদের নিজেদের দায়িত্বটুকু সঠিকভাবে পালন করতে হবে।

হাঁটাচলার সময় রাস্তা নোংরা না করি। ময়লাটা যথাস্থানে ফেলি। একদিনে হয়তো পরিবর্তন আসবে না। কিন্তু শুরুটা হলে একদিন অবশ্যই সামগ্রিকভাবে পরিবর্তন পরিলক্ষিত হতে বাধ্য। আর এই শুরুটাই আমি করছি আমার প্রতিষ্ঠানে।

 

বাংলাদেশ প্রতিদিন : এই যে আপনি ব্যক্তিকেন্দ্রিক ভাবনা থেকে বেরিয়ে সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে ভাবছেন এর অনুপ্রেরণা কোথায় পেয়েছেন?

গোলাম মুর্শেদ : অনুপ্রেরণা আসলে পরিবার থেকেই আসে। আমার বাবা-মা একটা বিশাল ভূমিকা রেখেছেন এখানে। কী হতে হবে তা নিয়ে তারা কখনো আমাকে জোর করেননি। তারা সবসময় আমার সিদ্ধান্তকে সম্মান দিয়ে এসেছেন। এটা একটা বিশাল ব্যাপার।  প্রত্যেকটা মানুষের নিজস্ব চিন্তা-চেতনার স্বাধীনতা থাকা উচিত। কারও ওপর কোনো কিছু চাপিয়ে দিলে এটা হবে না।

আমি আমার মতো করে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। আরেকটা কথা বাবা বলতেন যে, কখনো কারও অধিকার নষ্ট করবে না।  তুমি যে অবস্থায় যেভাবেই থাকো না কেন তোমার কথাবার্তায়, চাল-চলনে কখনো কারও অধিকার নষ্ট হয় এমন কিছু করা যাবে না। তোমার স্বাধীনতা আছে ভালো কিন্তু তোমার কারণে অন্যজনের স্বাধীনতা যেন ক্ষুণ না হয়।

সর্বশেষ খবর